মফস্বল প্রতিবেদক:
অসহনীয় লোডশেডিং কুমিল্লার জেলার মুরাদনগরে । গড়ে ১২ ঘণ্টা থাকে না বিদ্যুৎ প্রতিদিন । কম সময় বিদ্যুৎ ব্যবহার করলেও বিল উঠে পুরো । কম বিদ্যুৎ ব্যবহার , বিল বেশি আসায় গ্রাহকদের মধ্যে দেখা দিয়েছে চরম অসন্তোষ ।
ভোক্তভোগী গ্রাহকরা বলছেন, ১২ ঘণ্টার উপরে বিদ্যুৎ থাকে না ২৪ ঘণ্টার মধ্যে । বিদ্যুৎ বিল হবে ব্যবহারের উপর- যেমন ব্যবহার তেমন বিল । কিন্তু এখানে বিদ্যুৎ বিলের নামে জনগণের পকেট কাটা হচ্ছে ।
ছোট ছোট কলকারখানা- ওর্য়াকশপ, ওয়েল্ডিং, শপিংমল, ও মেইল ব্যবসায়ীরা বলছেন, ঘণ্টায় ঘণ্টায় বিদ্যুৎ আসা- যাওয়া করায় কোন কাজই করা যাচ্ছে না । বিদ্যুৎতের সমস্যা দ্রুত সমাধান করা না গেলে ব্যবসা ছেড়ে পথে বসতে হবে । বিল নিয়েও ক্ষোভ প্রকাশ করেন ।
ব্যাটারি চালিত অটোরিকশা চালকরা আছেন মহাবিপদে, চার্জের অভাবে গাড়ি চালাতে পারছেন না । এদের মধ্যে যারা ভাড়ায় গাড়ি চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করেন তারা মালিক জমা উঠাতে পারছেন না ।
বিদ্যু সার্ভিস কম, বিষয়টি নিয়ে বিদ্যুৎতের উপকেন্দ্র দেবপুর সূত্রে জানা যায়, দেবপুর গ্রিড উপকেন্দ্রের আওতায় ২২ টি ফিডার রয়েছে । এই ফিডারগুলোর মোট চাহিদা ১৫০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ । কিন্তু তারা পাচ্ছেন মাত্র ৪০- ৮০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ । যার কারণে চাহিদা মতো কোন ফিডারে বিদ্যুৎ সার্ভিস দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না ।
কোম্পানীগঞ্জ জোনাল অফিসের ডিজিএম এ কে এম আজাদ জানান, কোম্পানীগঞ্জ ও কামাল্লা এই দুটি সাব- স্টেশনে দিনের বেলা বিদ্যুৎতের চাহিদা ১৪- ১৫ মেগাওয়াট আর রাতে ২০ মেগাওয়াট । কিন্তু আমরা সর্বসাকুল্যে বিদ্যুৎ পাচ্ছি ৬- ৭ মেগাওয়াট । আমরা শুধু বন্টনকারী যা পাই, তাই সমানভাবে ১২টি ফিডারে ভাগ করে দেই । বিল বেশি আসার কথায় তিনি বলেন, গ্রাহক যেমন ব্যবহার করেন তেমনই বিল আসে ।