পাকিস্তানে ধর্ষণ এড়াতে মৃত কন্যাদের কবরে তালা

img

আন্তর্জাতিক প্রতিবেদক: 

পাকিস্তানে বাবা- মায়েরা ধর্ষণ এড়াতে মৃত কন্যাদের কবরে ব্যবহার করছেন তালা । সম্প্রতি এমনই চমৎপ্রদ তথ্য প্রকাশ করেছে ডেইলি টাইমস । 
 
 প্রতিবেদনে জানা গেছে দেশে নেক্রোফিলিয়ার( মৃত দেহের সঙ্গে সঙ্গম) ঘটনা বাড়ছে । 
 
 যে দেশে প্রতি দুই ঘণ্টায় একজন নারী ধর্ষণের শিকার হচ্ছেন সে দেশের পরিবারের মূল্যবোধের ভিত্তিতে বিষয়টি অত্যন্ত কঠোরভাবে আঘাত করছে । কিন্তু ধর্ষণ ঠেকাতে নারীদের কবরে তালা লাগানোর বিষয়টি অত্যন্ত হৃদয় বিদারক এবং তা সমাজের জন্য লজ্জাজনক বলে মন্তব্য করেছে ডেইলি টাইমস । 
 
 ‘ দ্য কার্স অব গড, হোয়াই আই লেফট ইসলাম ’ বইয়ের লেখক এবং প্রাক্তন মুসলিম নাস্তিক কর্মী হারিস সুলতান এই ধরনের হীন কাজের জন্য কট্টরপন্থী ইসলামী মতাদর্শকে দায়ী করেছেন । 
 
 বুধবার টুইটারে তিনি লিখেছেন, ‘ পাকিস্তান এমন একটি যৌন উত্তেজক, যৌন হতাশ সমাজ তৈরি করেছে যে লোকেরা এখন তাদের মেয়েদের কবরে তালা লাগিয়েছে যাতে তাদের ধর্ষণ না হয় । আপনি যখন বোরকা পরার বিষয়কে ধর্ষণের সঙ্গে যুক্ত করেন, তখন আপনি কবরের দিকে তাকান । ’ 
 
 মৃতদেহের পবিত্রতা নিশ্চিত করার জন্য মরিয়া হয়ে কবরে তালা লাগানোর উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে যাতে কামুক দানবরা যৌন লালসা মেটানোর জন্য এগুলো ব্যবহার করতে রা পারে । ডেইলি টাইমস জানিয়েছে, নেক্রোফিলিয়ার ব্যাপক বৃদ্ধি বিবেচনা করে প্রিয়জনদের রক্ষা করার তাগিদ সকলেই বুঝতে পারে কিন্তু তাদের রক্ষা করতে কেউ সাহায্য করতে পারে না । 
 
 আরেক টুইটার ব্যবহারকারী সাজিদ ইউসুফ শাহ লিখেছেন, ‘ পাকিস্তানের তৈরি সামাজিক পরিবেশ একটি যৌন অভিযুক্ত এবং অবদমিত সমাজের জন্ম দিয়েছে, যেখানে কিছু লোক তাদের মেয়ের কবরে তালা লাগিয়েছে তাদেরকে যৌন সহিংসতা থেকে রক্ষা করার জন্য । একজন ব্যক্তির পোশাক শুধু দুঃখ এবং হতাশা ভরা পথের দিকে নিয়ে যায় । ’ 
 
 একাধিকবার মহিলাদের মৃত দেহগুলো উন্মোচন এবং অপবিত্র করা হয়েছে বলে জানা গেছে । ২০১১ সালে উত্তর নাজিমাবাদ, করাচিতে মুহাম্মদ রিজওয়ান নামে একজন কবর রক্ষককে ৪৮টি মহিলার মৃতদেহ ধর্ষণের কথা স্বীকার করার পরে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল । তখনই পাকিস্তানে নেক্রোফিলিয়া মামলার রিপোর্ট করা হয়েছিল । 
 
 ন্যাশনাল কমিশন ফর হিউম্যান রাইটসের মতে, পাকিস্তানের ৪০ শতাংশের বেশি নারী তাদের জীবনে অন্তত একবার কোনো না কোনো সহিংসতার শিকার হয়েছেন ।