আন্তর্জাতিক প্রতিবেদক:
বাংলাদেশের আসন্ন জাতীয় নির্বাচনকে ‘ অভ্যন্তরীণ, ঘরোয়া নির্বাচন ’ হিসেবে উল্লেখ করেছে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তর । বাংলাদেশের আসন্ন জাতীয় নির্বাচন নিয়ে দেশটি কোনো মন্তব্য করতে চায় না । যুক্তরাষ্ট্রের স্থানীয় সময় সোমবার নিয়মিত সংবাদ সম্মেলনে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের উপপ্রধান মুখপাত্র বেদান্ত প্যাটেল একথা বলেন । বাংলাদেশের আসন্ন নির্বাচন নিয়ে এক প্রশ্নের তার এমন বক্তব্য এল ।
বেদান্ত প্যাটেল বলেন, ‘ বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ, ঘরোয়া নির্বাচন হওয়ায় এর বাইরে আমার আর কিছু বলার নেই । তবে যেহেতু এটি নির্বাচনের সঙ্গে সম্পর্কিত, তাই যুক্তরাষ্ট্র চায় যে তা অবাধ ও সুষ্ঠু হোক । নির্বাচনে বাংলাদেশের জনগণের ইচ্ছার প্রতিফলন হোক ।’
মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের উপপ্রধান বলেন, যুক্তরাষ্ট্র ও বাংলাদেশ গত বছর কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০ বছর উদযাপন করেছে । আমরা চাই এই সম্পর্ককে আরও গভীর করতে এবং সেই অপেক্ষায় রয়েছি ।
‘ঢাকা ও ওয়াশিংটনের বেশ কয়েকটি ক্ষেত্র রয়েছে । এসব ক্ষেত্রে দুদেশের ব্যাপক সহযোগিতা ও সম্পৃক্ততার সম্ভাবনা রয়েছে । সেটি জলবায়ু পরিবর্তন হোক, অর্থনীতি হোক, মানবিক সংকট মোকাবিলা এবং অন্যান্য বিষয়ও হোক ’ — বলেন বেদান্ত প্যাটেল ।
গত ১০ এপ্রিল মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেনের আহ্বানে যুক্তরাষ্ট্রে গিয়ে বৈঠক করেছেন বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন ।
দ্বিপাক্ষিক বৈঠকের সূচনা বক্তেব্যে অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন বলেন, বাংলাদেশে যাতে একটি অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন হয় সেজন্য যুক্তরাষ্ট্রের পাশাপাশি সারা বিশ্ব তাকিয়ে আছে । আমেরিকার পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছিলেন, বাংলাদেশের আগামী নির্বাচন যাতে এ অঞ্চল এবং সারা বিশ্বের জন্য একটি জোরালো উদাহরণ তৈরি করতে পারে ।
ব্লিঙ্কেন এমন এক সময়ে এসব কথা বলেন, যখন বাংলাদেশের আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে আমেরিকা এবং পশ্চিমা দেশগুলোর জোরালো আগ্রহ তৈরি হয়েছে ।
বাংলাদেশের সঙ্গে বিভিন্ন পর্যায়ে বৈঠকে পশ্চিমা দেশেগুলোর পক্ষ থেকে আগামী নির্বাচন যাতে অবাধ এবং সুষ্ঠু হয় সে তাগিদ দেয়া হয়েছে ।
ওয়াশিংটনে ১০ এপ্রিলের বৈঠকের আগে ব্লিঙ্কেন বলেন, দুই দেশের মধ্যে অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি এবং মানবাধিকার ইস্যুসহ বিভিন্ন বিষয়ে সম্পর্ক আরও জোরদার করতে যুক্তরাষ্ট্র কাজ করে যাচ্ছে ।
পরে এই বৈঠকের বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রে সাংবাদিকদের সঙ্গে পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্দুল মোমেন বলেন, ’ মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী যে বিষয়গুলোতে গুরুত্ব দিয়েছেন, তার মধ্যে অন্যতম ছিল অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন । আমি বলেছি, অবশ্যই, এটা আমাদেরও উদ্দেশ্য । আমরাও একটা মডেল নির্বাচন চাই । এ ব্যাপারে আপনারাও সাহায্য করেন, যাতে আমরা একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও স্বচ্ছ নির্বাচন করতে পারি ।’