যথাযথ পেশাদারিত্ব ও শুদ্ধতার সঙ্গে দায়িত্ব পালনের জন্য পুলিশ সদস্যদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন পুলিশের মহাপরিদর্শক চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন। আইজিপি বলেছেন, আমরা যারা সরকারি দায়িত্বে নিয়োজিত আছি তাদের নিষ্ঠার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করতে হবে। আবার সততাও বজায় রাখতে হবে।
বুধবার (১৩ সেপ্টেম্বর) পুলিশ সদরদপ্তরে পুলিশ সদস্যদেরকে শুদ্ধাচার পুরস্কার ২০২১-২০২২ প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন অতিরিক্ত আইজিপি (এইচআরএম) ব্যারিস্টার মো. হারুন-অর-রশিদ। এ সময় অতিরিক্ত আইজিপি (প্রশাসন) মো. কামরুল আহসান, ডিএমপি কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক, পুলিশের বিশেষ শাখার প্রধান অতিরিক্ত আইজিপি মো. মনিরুল ইসলামসহ পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
পুরস্কারপ্রাপ্তদের মধ্যে অনুভূতি ব্যক্ত করে বক্তব্য রাখেন ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার ড. খ. মহিদ উদ্দিন এবং ট্যুরিস্ট পুলিশের এসআই আকরাম হোসেন।
আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, ‘শুদ্ধাচার একটি সমষ্টিগত বিষয়। আমরা যারা সরকারি দায়িত্বে নিয়োজিত আছি আমার দায়িত্ব নিষ্ঠার সঙ্গে পালন করতে হবে। আবার সততাও বজায় রাখতে হবে।’
শুদ্ধাচার পুরস্কারে ভূষিতদের অভিনন্দন জানিয়ে পুলিশ প্রধান বলেন, ‘আপনারা প্রত্যেকে নিজ নিজ ইউনিটে শুদ্ধাচারের প্রতিনিধি হয়ে দায়িত্ব পালন করবেন। যাতে আপনাদের দেখে পুলিশের সকল ইউনিটের সদস্যরা নিষ্ঠার সাথে দায়িত্ব পালনে উজ্জীবিত হন।’
পুলিশের মহাপরিদর্শক বলেন, আজকে আমরা যাদেরকে শুদ্ধাচার পুরস্কারে ভূষিত করেছি তার চেয়ে অনেক বেশি সংখ্যক পুলিশ সদস্য তাদের পেশাগত দায়িত্ব পালনের ক্ষেত্রে শুদ্ধাচারের চর্চা করে থাকেন। কারণ প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত জঙ্গিবাদ-সন্ত্রাসবাদমুক্ত বাংলাদেশ গড়ার জন্য পুলিশের সকল ইউনিটের সদস্যরা একসঙ্গে কাজ করেছেন; তাই দেশে একটি স্থিতিশীল আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি বজায় ছিল। দেশের সর্বক্ষেত্রে উন্নয়নের জোয়ার বইছে। দেশ এগিয়ে যাচ্ছে অপ্রতিরোধ্য গতিতে।’
পুলিশের মহাপরিদর্শক শুদ্ধাচার পুরস্কার পাওয়াদের হাতে সার্টিফিকেট ও ক্রেস্ট তুলে দেন। শুদ্ধাচার পুরস্কার হিসেবে এক মাসের মূল বেতনের সমপরিমাণ অর্থ, সার্টিফিকেট ও ক্রেস্ট প্রদান করা হয়।
২০২১-২০২২ অর্থ বছরে পুলিশের বিভিন্ন ইউনিটে কর্মরত ২১৭ জন পুলিশ কর্মকর্তা ও সদস্য শুদ্ধাচার পুরস্কার পেয়েছেন। পুরস্কার পাওয়াদের মধ্যে দুইজন ডিআইজি, একজন লে. কর্ণেল, একজন অতিরিক্ত ডিআইজি, ১৫ জন পুলিশ সুপার, ১৩ জন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার, ১০ জন সহকারী পুলিশ সুপার, ২১ জন পুলিশ পরিদর্শক, ৩৭ জন সাব-ইন্সপেক্টর, চারজন সার্জেন্ট, ১৯ জন সহকারী সাব ইন্সপেক্টর, পাঁচজন নায়েক, ৭৮ জন কনস্টবল, একজন সিপাহী এবং ১০ জন সিভিল স্টাফ রয়েছেন।