নিজস্ব প্রতিবেদক:
আগামীতে গণমাধ্যমের ওপরও ভিসা নীতিতে যুক্ত হবে বলে জানিয়েছেন ঢাকায় নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত পিটার হাস। রবিবার একটি বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলের কার্যালয়ে সাক্ষাৎকারে তিনি একথা বলেন।
পিটার হাস বলেন, বিচার বিভাগ ও গণমাধ্যম প্রতিষ্ঠানের ওপরও আসতে পারে যুক্তরাষ্ট্রের ভিসার নিষেধাজ্ঞা।
মার্কিন ভিসা নীতিতে কারা আছেন আর সেই সংখ্যা কত জানতে চাইলে পিটার হাস বলেন, কতজনের ওপর নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে সেটা গুরুত্বপূর্ণ নয়। সুষ্ঠু নির্বাচনের স্বার্থেই মার্কিন ভিসানীতি প্রয়োগ করা হয়েছে।
আরেক প্রশ্নের জবাবে পিটার হাস বলেন, পরিবার সদস্যরা নিষেধাজ্ঞার আওতায় আসবেন ধারাবাহিকভাবে। নির্বাচনের সুষ্ঠু পরিবেশ নিশ্চিতে বিরোধীদলও আছে এই তালিকায়।'
মার্কিন ভিসানীতি কোনো স্বাধীন দেশের ওপর হস্তক্ষেপ নয় বলে দাবি করেন পিটার হাস। স্বচ্ছ নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য তারা ভিসানীতি দিয়েছেন বলে জানান তিনি।
দূতাবাসের কর্মকর্তাদের নিরাপত্তা নিয়ে এখনও শঙ্কা কাটেনি বলেও জানান মার্কিন রাষ্ট্রদূত।
শুক্রবার (২২ সেপ্টেম্বর) মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের স্টেট ডিপার্টমেন্ট এক বিবৃতিতে বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক নির্বাচন প্রক্রিয়া যারা বাধাগ্রস্ত করবে তাদের ওপর ভিসা নিষেধাজ্ঞা আরোপের কথা জানায়। বিবৃতিতে বলা হয়, বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া বাধাদানকারী ব্যক্তি ও সহায়তাকারীদের ওপর ভিসা নিষেধাজ্ঞা কার্যক্রম শুরু করতে যাচ্ছে। এর মধ্যে রয়েছে- আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, ক্ষমতাসীন দল ও বিরোধী রাজনৈতিক দলের সদস্যরা। যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশে শান্তিপূর্ণ উপায়ে সুষ্ঠু ও অবাধ নির্বাচন অনুষ্ঠানে সহায়তা অব্যাহত রাখতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
যাদের ওপর ভিসা নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হবে সেসব ব্যক্তি এবং তার পরিবার যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ করতে পারবে না। এছাড়া বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক নির্বাচন প্রক্রিয়াকে ক্ষুণ্ণ করার জন্য দায়ী বা জড়িত বলে প্রমাণিত অন্য ব্যক্তিরাও ভবিষ্যতে এ নীতির আওতায় ভিসার জন্য অযোগ্য বলে বিবেচিত হতে পারেন। এ ব্যক্তিদের মধ্যে বর্তমান ও সাবেক বাংলাদেশি কর্মকর্তা, বিরোধী ও ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দলের সদস্য এবং আইন প্রয়োগকারী, বিচার বিভাগ ও নিরাপত্তা পরিসেবার সদস্যরা রয়েছেন।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, এসব পদক্ষেপ বাংলাদেশে শান্তিপূর্ণভাবে সুষ্ঠু ও অবাধ জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানের যে লক্ষ্য রয়েছে তার প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের অব্যাহত প্রতিশ্রুতির প্রতিফলন। এছাড়া এর মধ্য দিয়ে যারা বিশ্বব্যাপী গণতন্ত্রকে এগিয়ে নিতে চায়, তাদের প্রতি সমর্থনে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিশ্রুতিরও প্রতিফলন ঘটছে।
২০২৪ সালের ২৯ জানুয়ারি চলতি একাদশ জাতীয় সংসদের মেয়াদ পূর্ণ হবে। মেয়াদ পূর্ণ হওয়ার আগের ৯০ দিনের মধ্যে পরবর্তী নির্বাচন করার সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা রয়েছে। অর্থাৎ আগামী ১ নভেম্বর থেকে ২৯ জানুয়ারির মধ্যে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন করতে হবে। এখনও পর্যন্ত সংবিধান অনুযায়ী দলীয় সরকারের অধীনেই নির্বাচন করতে অনড় ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ।