কুমিল্লা প্রতিনিধি:
অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেছেন, ‘পৃথিবীতে অর্থনীতিতে চরম অবস্থা বিরাজ করছে। আর সেটি হচ্ছে তথাকথিত বাণিজ্যযুদ্ধ। চলমান এই বাণিজ্যযুদ্ধের প্রভাবে সারাবিশ্বের অর্থনীতিতে নিম্নমুখিতা দেখা দিয়েছে। এতে চীনের প্রবৃদ্ধি ১৪ দশমিক চার শতাংশ থেকে ৭ শতাংশে নেমে গেছে, কিন্তু বাংলাদেশের অর্থনীতি এগিয়ে যাচ্ছে।’
সোমবার বিকালে কুমিল্লার রামঘাট দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের অফিসে আয়োজিত মহান বিজয় দিবস অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। অর্থমন্ত্রী শাখা আওয়ামী লীগের সভাপতি।
অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘গত দুই দশকে পৃথিবীতে আরও কয়েকবার অর্থনৈতিক বিপর্যয় দেখা দিয়েছিল। ১৯৯৭ সালে সারাবিশ্বে যে মহাঅর্থনৈতিক বিপর্যয় দেখা দিয়েছিল তাতে ইন্দোনেশিয়া, দক্ষিণ কোরিয়াসহ এশিয়ার বেশ কিছু দেশ চরম অবস্থায় পতিত হয়। আর ২০০৮ সালের বিপর্যয়ে খোদ আমেরিকাসহ অনেক দেশে চরম অবস্থার সষ্টি হয়। কিন্তু তখনও আমাদের অর্থনীতি বিপর্যের সম্মুখীন হয়নি। বর্তমানে তথাকথিত বাণিজ্যযুদ্ধেও বাংলাদেশ ক্রমাগতভাবে অর্থনৈতিক খাতে উন্নতি সাধন করেছ চলেছে। আমাদের প্রবৃদ্ধি বাড়ছে।’
মুস্তফা কামাল বলেন, ‘গত অর্থবছরে আমরা ৮ দশমিক ১৫ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জন করেছি। চলতি অর্থবছরেই আমরা ৮ দশমিক ২৫ শতাংশ থেকে ৮ দশমিক ৩০ শতাংশ জিডিপি প্রবৃদ্ধি অর্জনের প্রত্যাশা করছি, যা ২০২৪ সাল নাগাদ দাঁড়াবে ১০ শতাংশ এবং সেটা অব্যাহত থাকবে। বিশ্বে যে কয়েকটি দেশের রপ্তানি আয় খুব দ্রুত বাড়ছে, তার মধ্যে বাংলাদেশ একটি। এতে সবচেয়ে বড় অবদান বাংলাদেশের মানুষের।
তিনি বলেন, “আমাদের উৎপাদন আর চাহিদা আমাদের নিজেরাই তৈরি করি। ফলে আমাদের আর্থিক খাতে এই মুহূর্তে কোন রকম ঝুঁকি নেই। আমাদের রয়েছে কর্মদক্ষ ভবিষ্য যুবশক্তির সম্ভাবনা।”
অর্থমন্ত্রী বলেছেন, “২০৩০ সালে ৩ কোটি যুবকের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা হবে। তখন আর কারোর কর্মসংস্থানের অভাব থাকবে না”
এর আগে অর্থমন্ত্রী কুমিল্লা সদর দক্ষিণ উপজেলায় ক্যানসার, কিডনি, লিভার সিরোসিস, জন্মগত হৃদরোগসহ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিদের চিকিৎসার সহায়তায় অর্থ অনুদান চেক বিতরণ করেন। কুমিল্লা সদর দক্ষিণ উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে এসব অনুদান বিতরণ করা হয়।
অনুদান বিতরণে আরও উপস্থিত ছিলেন কুমিল্লা সদর দক্ষিণ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান গোলাম সারওয়ার, লালমাই উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল মালেক, সমাজসেবা অধিদপ্তরের কর্মকর্তা এবং সদর দক্ষিণ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মিয়া মোহাম্মদ কিয়াম উদ্দিন প্রমুখ।