কাশ্মীরের ৩৭০ ধারা বাতিল ‘ঐতিহাসিক পদক্ষেপ’: ভারতের সেনাপ্রধান

img

আন্তর্জাতিক ডেস্ক:

ভারতের সংবিধানের ৩৭০ অনুচ্ছেদ বাতিলের মাধ্যমে জন্মু-কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা বাতিলের সিদ্ধান্তকে ‘ঐতিহাসিক’ বলে উল্লেখ করেছেন দেশটির সেনাপ্রধান মনোজ মুকুন্দ নরবণে। 

বুধবার সকালে তিনি বলেন, “৩৭০ ধারা বাতিল করার ফলে জমু এবং কাশ্মীরের শাসনকার্য চালান সুবিধাজনক হবে। পাশাপাশি এরফলে পশ্চিমের প্রতিবেশী দেশের সঙ্গে প্রক্সি ওয়ারও বন্ধ রাখা যাবে”। এদিন ৭২ তম আর্মি দিবস উপলক্ষে দিল্লিতে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এই বক্তব্য রাখেন সেনাপ্রধান নারাভানে। গত মাসেই সেনাপ্রধানের দায়িত্বে আসীন হয়েছেন তিনি।

আর তার পর থেকেই দেশে সন্ত্রাস রুখতে কড়া পদক্ষেপ নেওয়ার কথা ঘোষণা করেছেন একাধিকবার। এদিনও তিনি বলেন, “কোনোরকম সন্ত্রাস বরদাস্ত করবে না ভারতীয় সেনা। সন্ত্রাস প্রতিহত করার সবরকম ব্যবস্থা আমাদের আছে। প্রয়োজনে সেগুলি ব্যবহার করতে পিছপা হব না”।

তিনি বলেন, “পাকিস্তান যদি সন্ত্রাস বন্ধ না করে, তাহলে আমরাও তা মোকাবিলা করার জন্য আগে থেকেই তৈরি থাকব”। সেইসঙ্গে তিনি জানান, সেনাবাহিনীকে প্রস্তুত করা হচ্ছে। যুদ্ধকালীন পরস্থিতিতে সেনার ক্ষমতা যাচাইয়ের কাজও শুরু করা হয়েছে।

যদিও অভিযোগ রয়েছে, জম্মু-কাশ্মীরের জনমিতিক পরিবর্তনের উদ্দেশ্যে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বাধীন বিজেপি সরকার বিশেষ মর্যাদা রহিত করেন। কারণ বর্তমানে কাশ্মীর মুসলিম অধ্যষিত রাজ্য। ৩৭০ ধারা বাতিলের পাশাপাশি কাশ্মীরে জমি ক্রয়, কাশ্মীরের কোনো মেয়েকে বিবাহসহ কয়েকটি বিষয়ও সংশোধিত করা হয়। 

৩৭০ ধারা বাতিলকে কেন্দ্র করে উদ্ভূত পরিস্থিতি মোকাবেলায় কাশ্মীরে সেনা সদস্য মোতায়েন সহ ইন্টারনেট সেবা বন্ধ রাখা হয়। অভিযোগ রয়েছে, হাজার হাজার রাজনৈতিক কর্মীকে গৃহবন্দি ও আটক করেছে স্থানীয় পুলিশ। 

বুধবার রাজধানীতে আয়োজিত আর্মি প্যারেডে উপস্থিত ছিলেন বায়ুসেনার প্রধান আরকেএস ভাদুরিয়া, নৌবাহিনীর প্রধান করমবীর সিং এবং চিফ অব ডিফেন্স স্টাফ বিপিন রাওয়াত। আর্মির ক্যাপ্টেন তানিয়া শেরগিল এদিন প্যারেডের নেতৃত্ব দেন। প্রতি বছর ১৫ জানুয়ারি লেফটেন্যান্ট জেনারেল কে এম কারিপ্পার সম্মানে এই দিবস উদযাপন করে সেনাবাহিনী। দিল্লি-ক্যান্টনমেন্টের কারিপ্পা প্যারেড মাঠেই এই অনুষ্ঠান আয়োজিত হয়।