নিজস্ব প্রতিবেদক:
নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণায় হামলা-হুমকির ভীতিকে উড়িয়ে দিয়ে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে (ডিএসসিসি) বিএনপির মেয়র প্রার্থী ইশরাক হোসেন বলেছেন, ‘আমরা ভীত না। রাজনীতি করবো, জেল হবে না, মামলা হবে না- এটা হয় নাকি বাংলাদেশের পেক্ষাপটে। এসব জেল-মামলার ভয় দেখিয়ে লাভ নেই। জেল-মামলার ভয় আমি পাই না,লড়াই করবো।’
নির্বাচনী প্রচারণার সপ্তম দিনে বৃহস্পতিবার রাজধানীর যাত্রাবাড়ী থানার বিভিন্ন এলাকায় গণসংযোগকালে এসব কথা বলেন ইশরাক।
ইশরাক বলেন, ‘যতোদিন যাচ্ছে আমাদের জনগমাগম বাড়ছে, জনস্রোত বাড়ছে। বিপুল সাড়া পাচ্ছি এবং একটি গণজোয়ার সৃষ্টি হয়েছে। প্রতিদিনই গণসংযোগে মানুষের অংশগ্রহণ বাড়ছে। এদিক থেকে আমরা খুবই আশবাদী।’
ইশরাক বলেন, আসন্ন সিটি করপোরেশন নির্বাচনকে ঘিরে ঢাকা মহানগরীতে ধানের শীষের পক্ষে গণজোয়ার সৃষ্টি হয়েছে। মানুষ মুখিয়ে আছে ধানের শীষে ভোট দেয়ার জন্য। আমরা যে এলাকায় গিয়েছি সেখানেই নারী-পুরুষ নির্বিশেষে সকল শ্রেণির মানুষের উচ্ছ্বাস দেখেছি। এ অবস্থা দেখে ক্ষমতাসীনরা নতুন নতুন ষড়যন্ত্রের ফন্দি আঁটছে।
দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) একটি মামলায় ইশরাক হোসেনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন হয়েছে। এতে নির্বাচনে কোনও প্রভাব পড়বে কি-না সংবাদিকদের এমন প্রশ্নে ইশরাক বলেন, ‘১/১১ এর সময় সব দলের নেতা ও পরিবারের নামে মামলা করা হয়েছিলো। বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর তাদের এবং তাদের পরিবারের মামলাগুলো গায়েব করে দিয়েছে। কিন্তু বিএনপির মামলাগুলো সক্রিয় রেখেছে। এর আগেও জাতীয় নির্বাচনে আমি যখন মনোনয়নপত্র জমা দিলাম তখনও নাড়াচড়া শুরু হয়েছিল। এগুলো নিয়ে আমরা ভীত না। রাজনীতি করবো, জেল হবে না, মামলা হবে না এটা হয় নাকি বাংলাদেশের পেক্ষাপটে।’
বিএনপির এ প্রার্থী বলেন, ‘মামলাটি হয়েছে মূলত রাজনৈতিক কারণে। ২০০৮ সালে একটা সম্পত্তির হিসাব চেয়ে আমাকে নোটিশ দেয়া হয়েছিল। আমি তখন পড়াশোনার জন্য দেশের বাইরে ছিলাম। আমি নোটিশ পাইনি বলে জবাব দিতে পারিনি। সেটার জন্য মামলা দিয়েছে। সেই মামলা আজকে নাড়াচাড়া করছে। আমি বলবো এগুলা করে কোনো লাভ নেই। এটা নিয়ে আমি বিন্দুমাত্রও বিচলিত না। এটাকে কোনও বাধাই আমি মনে করছি না।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমি মামলার বিষয়টি হলফনামায় উল্লেখ করেছি। অপচারের কথা যদি বলি, এ সরকারের লোকেরা আমাকে শিবির বানিয়ে ছেড়েছে। কতটা নিচু মনের মানুষ এরা। আমি একজন মুক্তিযোদ্ধার সন্তান। শুধুমাত্র আমি দাড়ি রাখি, কথা বলার আগে আল্লাহর নাম নিয়ে বিসমিল্লাহ বলে শুরু করি, কোনো কিছু অর্জন হলে আমি ইনশাল্লাহ্ বলি- আর এজন্যই আমাকে শিবির বানিয়ে দেয়া হলো।’
বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১০টায় দয়াগঞ্জ ব্রিজ থেকে নির্বাচনী প্রচারণা শুরু করে যাত্রাবাড়ী চৌরাস্তা, উত্তর যাত্রাবাড়ী, ৪৮ নং ওয়ার্ড শহীদ জিয়া স্কুল, ধলপুর রোড, সূতি খালপাড়, কাজলা মেইন রোড, ডেমরা রোড, ভাঙ্গা প্রেস, বাঁশপট্টি, শেখদি চৌরাস্তা, শনির আখড়া, মৃধাবাড়ী ক্যানেল রোড হয়ে কোনাবাড়ী এসে যাত্রা বিরতি করেন ইশরাক।
গণসংযোগে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল নোমান, যুগ্ম মহাসচিব হাবিব-উন নবী খান সোহেল, সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুল হক মিলন, আনিসুর রহমান তালুকদার খোকন, ঢাকা মহানগর বিএনপি নেতা নবীউল্লাহ নবী, এসএম জিলানী, তানভির আহমেদ রবিনসহ স্থানীয় বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের অনেক নেতাকর্মী অংশ নেন।