বরকত-রুবেলের ২ হাজার কোটি টাকা পাচার ১৯ মে অভিযোগ গঠন শুনানি

img

নিজস্ব প্রতিবেদক :

“দুই হাজার কোটি টাকা পাচারের মামলায় ফরিদপুর শহর আওয়ামী লীগের অব্যাহতিপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদ হোসেন বরকত ও তার ভাই ইমতিয়াজ হাসান রুবেলসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে অবশিষ্ট অভিযোগ গঠন শুনানির জন্য আগামী ১৯ মে দিন ধার্য করেছেন আদালত।”
“গতকাল রোববার ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-১০ এর বিচারক মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম এ দিন ধার্য করেন। এদিন মামলার তদন্ত কর্মকর্তার উপস্থিতিতে অভিযোগ গঠন শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। তবে তা শেষ না হওয়ায় আদালত অবশিষ্ট অভিযোগ গঠন শুনানির জন্য আগামী ১৯ মে দিন ধার্য করেন। এর আগে গত ৭ মার্চ আসামিদের নির্দোষ দাবি করে আইনজীবী শাহিনুর রহমান অব্যাহতির আবেদন করেন। এরপর অভিযোগ গঠনের বিষয়ে শুনানি শুরু হয়। তবে তা শেষ না হওয়ায় অবশিষ্ট অভিযোগ গঠন শুনানির জন্য আদালত দিন ধার্য করেন। এ মামলার অন্য আসামিরা হলেন- ফরিদপুর শহর আওয়ামী লীগের সভাপতি নাজমুল ইসলাম খন্দকার লেভী, আসিকুর রহমান ফারহান, খন্দোকার মোহতেসাম হোসেন বাবর, এএইচএম ফুয়াদ, ফাহাদ বিন ওয়াজেদ ওরফে ফাহিম, কামরুল হাসান ডেভিড, মুহাম্মদ আলি মিনার ও তারিকুল ইসলাম ওরফে নাসিম।”

 


“২০২১ সালের ৩ মার্চ বরকত ও রুবেলসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে সিআইডির সহকারী পুলিশ সুপার উত্তম কুমার বিশ্বাস আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। ওই বছরের ৩০ সেপ্টেম্বর ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কে এম ইমরুল কায়েশের আদালত এ অভিযোগপত্র গ্রহণ করেন। ২০২০ সালের ২৬ জুন সিআইডির পরিদর্শক এস এম মিরাজ আল মাহমুদ বাদী হয়ে অর্থপাচারের অভিযোগে ঢাকার কাফরুল থানায় বরকত ও রুবেলের বিরুদ্ধে মামলা করেন। মামলায় দুই ভাইয়ের বিরুদ্ধে অবৈধভাবে দুই হাজার কোটি টাকা উপার্জন ও পাচারের অভিযোগ আনা হয়। মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়, ২০১০ সাল থেকে চলতি বছর পর্যন্ত ফরিদপুরের এলজিইডি, বিআরটিএ, সড়ক বিভাগসহ বিভিন্ন সরকারি বিভাগের ঠিকাদারি নিয়ন্ত্রণ করে বিপুল পরিমাণ অবৈধ সম্পদের মালিক হন বরকত ও রুবেল। এছাড়া তারা মাদক কারবার ও ভূমি দখল করে অবৈধ সম্পদ অর্জন করেছেন। এসি ও নন-এসিসহ ২৩টি বাস, ডাম্প ট্রাক, বোল্ডার ও পাজেরো গাড়ির মালিক হয়েছেন। সেই সঙ্গে দুই হাজার কোটি টাকা বিদেশে পাচার করেন তারা। এজাহারে আরও উল্লেখ করা হয়, প্রথম জীবনে দুই ভাই রাজবাড়ীর এক বিএনপি নেতার সঙ্গী ছিলেন। তখন তাদের সম্পদ বলতে কিছুই ছিল না। ১৯৯৪ সালের ২০ নভেম্বর ওই এলাকায় এক আইনজীবী খুন হন। ওই হত্যা মামলার আসামি ছিলেন বরকত ও রুবেল।”