নির্বাচন বয়কটে অটল বিএনপি, দলের কেউ স্বতন্ত্র প্রার্থী হলেও ব্যবস্থা

img

নিজস্ব প্রতিবেদক:

আসন্ন পাঁচ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে অংশ না নেওয়ার সিদ্ধান্তে অটল রয়েছে বিএনপি । যদিও ভেতরে ভেতরে আওয়ামী লীগের বিরোধী প্রার্থীদের পক্ষে কাজ করতে নেতাকর্মীদের গোপন নির্দেশনা দেওয়ার বিষয়ে গুঞ্জন উঠেছে দলটির শীর্ষ সারির নেতাদের বিষয়ে । তবে দলটির একাধিক কেন্দ্রীয় নেতা বলছেন, নানা গুঞ্জন থাকলেও বিএনপি এ নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে না । 
 
 এমনকি বিএনপির কেউ যদি স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মেয়র বা কাউন্সিলর পদে মনোনয়নপত্র জমা দেন, তার বিরুদ্ধে কঠোরব্যবস্থা গ্রহণেরও সিদ্ধান্ত দলটির সাম্প্রতিক বৈঠকগুলোতে নেওয়া হয়েছে বলে দলীয় সূত্রে জানা গেছে । শুধু মেয়র প্রার্থীর বিষয়েই নয়, কাউন্সিলর পদের বিষয়েও কড়া হুঁশিয়ারি রয়েছে দলের হাইকমান্ডের । 
 
 অন্যদিকে দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরও শনিবার এক অনুষ্ঠানে সিটি নির্বাচনে অংশ না নেওয়ার সিদ্ধান্তের কথাই পুনরায় জানান দিলেন । 
 
 রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে দলের নতুন কমিটির উদ্যোগে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের সমাধিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর উপস্থিত সাংবাদিকদের বলেন, ‘ আমরা পরিষ্কার করে বলে দিয়েছি, এই সরকারের অধীনে কোনো স্থানীয় সরকার নির্বাচনে আমরা যাচ্ছি না । বিশেষ করে সিটি করপোরেশন নির্বাচনে, যেখানে মেয়র নির্বাচন বা কমিশন নির্বাচন, এখানে আমাদের দলের কোনো অংশগ্রহণ থাকবে না । ’ 
 
 তিনি বলেন, এই সরকার ক্ষমতায় থাকলে কোনোদিনও অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন হবে না । জনগণ সেই নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে না । এ কারণে আওয়ামী লীগ আজ এসব কথা বলে জনগণকে বিভ্রান্ত করতে চায় । 
 
 এদিকে ‘ পরাজয়ের ভয়ে বিএনপি নির্বাচনে অংশ নেয় না ’ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এমন বক্তব্যের জবাবে মির্জা ফখরুল বলেন, আওয়ামী লীগ তো নির্বাচনই বিশ্বাস করে না । আওয়ামী লীগ গণতন্ত্রেও বিশ্বাস করে না । 
 
 বিএনপি মহাসচিব বলেন, আওয়ামী লীগ বিশেষ করে এই সরকার অত্যন্ত সচেতনভাবে গণতন্ত্র ধ্বংস করে তাদের যে পুরনো লক্ষ্য এক দলীয় শাসনব্যবস্থা, সে একদলীয় শাসনব্যবস্থা বাকশাল প্রতিষ্ঠা করতে চায় । সেই লক্ষে ২০১৪ সালে নির্বাচনকে প্রহসনে পরিণত করেছে, সেখানে জনগণ ভোট দিতে যায়নি । 
 
 একইভাবে ২০১৮ সালে আগের রাতে ভোট দিয়ে তারা জোর করে ক্ষমতায় বসে আছে । জনগণ সেখানেও অংশগ্রহণ করেননি । এমনকি স্থানীয় সরকার নির্বাচনেও জনগণ অংশগ্রহণ করছে না, ভোট দিতে যাচ্ছে না ।