মানবতাবিরোধী অপরাধে নোয়াখালীর রাজাকার শেখ ফরিদ গ্রেপ্তার

img

ডেস্ক প্রতিবেদক:

একাত্তরের মানবতা বিরোধী অপরাধের মামলায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানাভুক্ত আসামি নোয়াখালীর রাজাকার শেখ ফরিদকে (৭০) গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব।

র‌্যাব-২ এর একটি দল গতকাল বুধবার বিকালে গাজীপুরের শ্রীপুর বাজার এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করে।

শেখ ফরিদের বাড়ি নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জে।

বৃহস্পতিবার সকালে র‌্যাব-২ এর সিনিয়র সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) শিহাব করিম এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানান।

প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে শেখ ফরিদ ও সহযোগী রাজাকারদের নিয়ে নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ থানার বাঞ্ছারাম গ্রামের মুক্তিযোদ্ধাদের হত্যা ও নির্যাতনসহ তাদের বাড়িতে অগ্নিসংযোগ এবং লুটপাট করে।

এছাড়াও ১৯৭১ সালের ৪ সেপ্টেম্বর নোয়াখালীর বামনী বাজারে বীর মুক্তিযোদ্ধা খিজির হায়াত খান, বীর মুক্তিযোদ্ধা শরাফত আলী, বীর মুক্তিযোদ্ধা নিজাম উদ্দিন ফারুক, বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল ওহাবসহ ১০-১২ জনের একটি দল একটি অপারেশন শেষে ১৫ নং স্লইচ গেট সংলগ্ন এলাকায় অবস্থান নেয়। এ সময় একটি হেলিকপ্টার উড়ে যেতে দেখে নিরাপত্তার কারণে তাদের অবস্থান পরিবর্তন করে ১৬ নং স্লুইচ গেটের দিকে চলে যায়। তখন শেখ ফরিদসহ অন্যান্য রাজাকার সদস্য এলাকায় মুক্তিযোদ্ধাদের অবস্থানের কথা বসুরহাট ও চাপরাশির হাট রাজাকার ক্যাম্পে জানিয়ে দেয়।

এরপর বসুরহাট ও চাপরাশিরহাট রাজাকার ক্যাম্প থেকে পাকিস্তানি আর্মি ও শেখ ফরিদসহ ১০০-১২০ জন সশস্ত্র রাজাকার মুক্তিযোদ্ধাদের ওপর অতর্কিত হামলা চালায়। এসময় ৬ জন মুক্তিযোদ্ধা, ১ জন পথচারী ও ২ জন অজ্ঞাতনামা ব্যক্তি মারা যান। ঐ সময় শেখ ফরিদসহ অন্যান্য যুদ্ধাপরাধী রাজাকার ধানক্ষেতে লুকিয়ে থাকা নিরস্ত্র মুক্তিযোদ্ধাদের খুঁজে বের করে গুলি করে হত্যা করে।

এ ঘটনার প্রেক্ষিতে ২০১৭ সালে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে। এর পর থেকে আসামি দেশের বিভিন্ন স্থানে আত্মগোপন করে থাকে। তাকে গ্রেপ্তারের লক্ষ্যে র‌্যাব-২ এ গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধি করে। এরই ধারাবাহিকতায় গোপন তথ্যের ভিত্তিতে র‌্যাব-২ এর একটি চৌকস আভিযানিক দল গতকাল বুধবার বিকালে গাজীপুর জেলার শ্রীপুর উপজেলার শ্রীপুর বাজার এলাকায় অভিযান চালিয়ে শেখ ফরিদকে গ্রেপ্তার করে।