পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) উপলক্ষে টানা তিন দিন ছুটি পাচ্ছেন চাকরিজীবীরা

img

নিজস্ব প্রতিবেদক:

পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (স) উপলক্ষে সরকারি ছুটি আগামী ২৮ সেপ্টেম্বর (বৃহস্পতিবার)। এর পর ২৯ ও ৩০ সেপ্টেম্বর (শুক্র ও শনিবার) সাপ্তাহিক ছুটি। সব মিলিয়ে বৃহস্পতি, শুক্র ও শনিবার টানা তিন দিনের ছুটি পাচ্ছেন সরকারি চাকরিজীবীরা।

আজ রবিবার থেকে রবিউল আউয়াল মাস গণনা শুরু হবে। আগামী ২৮ সেপ্টেম্বর (১২ রবিউল আউয়াল) বৃহস্পতিবার পালিত হবে পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.)। গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যায় বায়তুল মুকাররম জাতীয় মসজিদের সভাকক্ষে জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির সভায় এ সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মু. আ. হামিদ জমাদ্দার।

প্রায় ১৪০০ বছর আগে হিজরি বর্ষের ১২ রবিউল আউয়াল তারিখে বিশ্বনবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) জন্মগ্রহণ করেন।  বাংলাদেশসহ বিশ্ব মুসলিম সম্প্রদায় এ দিনটি ঈদে মিলাদুন্নবী হিসেবে পালন করে থাকেন।

উল্লেখ্য, এক সময় গোটা আরব অন্ধকারে নিমজ্জিত ছিল। তারা আল্লাহকে ভুলে গিয়ে নানান অপকর্মে লিপ্ত হয়ে পড়েছিল। আরবের সর্বত্র দেখা দিয়েছিল অরাজকতা ও বিশৃংখলা। এ যুগকে বলা হতো আইয়ামে জাহেলিয়াত। তখন মানুষ হানাহানি ও কাটাকাটিতে লিপ্ত ছিল এবং মূর্তিপূজা করত। এই অন্ধকার যুগ থেকে মানবকুলের মুক্তিসহ তাদের আলোর পথ দেখাতে মহান আল্লাহ তাআলা রাসুলুল্লাহ (সা.) কে প্রেরণ করেন এই ধরাধমে। মহানবী রাসুলুল্লাহ (সা.) অতি অল্প বয়সেই আল্লাহর প্রেম অনুরক্ত হয়ে পড়েন এবং প্রায়ই তিনি হেরা পর্বতের গুহায় ধ্যানমগ্ন থাকতেন। পঁচিশ বছর বয়সে মহানবী বিবি খাদিজা নামের এক ধর্ণাঢ্য মহিলার সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন। মাত্র ৪০ বছর বয়সে তিনি নব্যুয়ত প্রাপ্ত হন। আল্লাহ তাআলার নৈকট্য লাভ করেন।

পবিত্র কোরআন শরীফে বর্ণিত আছে, ‘মহানবীকে সৃষ্টি না করলে আল্লাহ রাব্বুল আলামিন পৃথিবীই সৃষ্টি করতেন না’। এসব কারণে এবং তৎকালীন আরব জাহানের বাস্তবতায় এ দিনের গুরুত্ব ও তাৎপর্য অনেক বেশি।