হামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ করেছে সংবাদকর্মীরা

img

নিজস্ব প্রতিবেদক:

ঢাকার নবাবগঞ্জে একটি হোটেলে অবস্থানরত যুগান্তর ও যমুনা টেলিভিশনসহ বিভিন্ন গণমাধ্যমকর্মীর ওপর সন্ত্রাসী হামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছে সচেতন সাংবাদিক সমাজ।

বুধবার (২৬ ডিসেম্বর) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধনটি অনুষ্ঠিত হয়। মানববন্ধনে সাংবাদিক নেতারা সোমবার রাতে সাংবাদিকদের ওপর হামলার ঘটনায় দোষীদের অবিলম্বে গ্রেফতার ও তাদের শাস্তি দাবি করেন।

জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক খাইরুজ্জামান কামাল বলেন, ঢাকা-১ নবাবগঞ্জ-দোহার সংসদীয় আসনে গত সোমবার (২৪ ডিসেম্বর) সন্ত্রাসীরা দৈনিক যুগান্তর এবং যমুনা টিভির আমাদের সহকর্মী সাংবাদিক ভাইদের ওপর নির্মম হামলা চালানো হয়েছে, তাদের আহত করা হয়েছে, ভাঙচুর করা হয়েছে আমরা তার নিন্দা প্রকাশ করি। এর প্রতিবাদের জন্য তাৎক্ষণিক মানববন্ধনের উদ্যোগ নিয়েছে সচেতন সাংবাদিক সমাজ। স্থানীয় প্রশাসন তাদের নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ হয়েছে। আমি সরকারের কাছে অনুরোধ করবো তদন্ত করে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন। দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে থানার পাশে একটি হোটেলে অবস্থান করছিলেন তারা। দুষ্কৃতিকারীরা গভীর রাতে থানার সামনে, প্রশাসনের চোখের সামনে এরকম হামলা করবে এটা মেনে নেওয়া যায় না।

তিনি আরও বলেন, ‘আজকের মানববন্ধন থেকে আমরা নির্বাচন কমিশন, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং সরকারের কাছে আহ্বান জানাচ্ছি, অবিলম্বে এই ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করুন এবং হামলাকারীদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিন। না হলে ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন, ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন, জাতীয় প্রেসক্লাব, ক্রাইম রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন এবং ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির নেতারা আন্দোলন চালিয়ে যাবে।’

জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক ও ডিআইইউ এর সাবেক সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদ আলম খান তপু, ডিআরইউয়ের সাবেক সাধারণ সম্পাদক শুক্কুর আলী শুভ, জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক সাজেদা হকসহ আরও অন্যান্য সংগঠনের সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।

এদিকে, ওই ঘটনার নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে অন্য একটি ব্যানারে বিক্ষোভ মিছিল করে ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের একাংশ।

প্রসঙ্গত, গত সোমবার (২৪ ডিসেম্বর) ঢাকার নবাবগঞ্জে একটি হোটেলে অবস্থানরত যুগান্তর ও যমুনা টেলিভিশনসহ বিভিন্ন গণমাধ্যমকর্মীর ওপর হামলা চালায় ছাত্রলীগ-যুবলীগের কর্মীরা। এতে কমপক্ষে ১০ সাংবাদিক আহত হন। নবাবগঞ্জে থানা রোডে শামীম গেস্ট হাউসে এ হামলার ঘটনা ঘটে। এতে ভাঙচুর করা হয় ১৮টি গাড়ি ও হোটেলের বিভিন্ন কক্ষ। এ ঘটনায় মঙ্গলবার রাতে দোহার উপজেলা চেয়ারম্যানকে প্রধান আসামি করে ১৪ জনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে।