স্বাস্থ্য ডেস্ক:
মানুষের হার্ট ও কিডনি নানা কারণেই বিকল হয়ে যায়। এমন জটিল রোগীদের দরকার হয় হার্ট, কিডনি প্রতিস্থাপনের। আর এ জন্য অন্য কাউকে কিডনি কিংবা হার্ট দান করতে হয়। কিন্তু এ দানের হার খুব বেশি নয়। এ সমস্যার সমাধানে এখন থেকে হার্ট ও কিডনি প্রতিস্থাপনকারীদের শরীরে বসবে শূকরের হার্ট ও কিডনি। শুনতে অবাক লাগলেও এমনটিই দাবি করছেন একদশ ব্রিটিশ চিকিৎসা বিজ্ঞানী।
ব্রিটিশ চিকিৎসা বিজ্ঞানীদের মতে, মানবদেহে শূকরের কিডনি স্থানান্তরিত হওয়ার জন্য হয়তো তিন বছর অপেক্ষা করতে হবে না।
চিকিৎসা বিজ্ঞানী টেরেন্স জানিয়েছেন, এবছরই মানুষের শরীরে শূকরের কিডনি স্থাপন করা হবে। আর যদি তা সফল হয়, তাহলে হৃদযন্ত্র প্রতিস্থাপিত হওয়ারও সম্ভাবনা রয়েছে। ফলে আশার আলো দেখছেন অনেকেই।
গবেষকরা জানিয়েছেন, মানুষ ও শূকরের হৃদযন্ত্রের গঠনে অনেকটাই মিল রয়েছে। এই দুই প্রাণীর শারীরবৃত্তীয় প্রক্রিয়ায়ও অনেকটা এক। সেই কারণেই শূকরের দেহের অংশ মানুষের শরীরে সচল থাকার সম্ভাবনা প্রবল।
পশুর দেহের অংশ মানুষের শরীরে প্রতিস্থাপনের এই পদ্ধতি যাকে যেনোট্রান্সপ্লানটেশন বলা হয় তাতে সাফল্য অর্জনের জন্য বিজ্ঞানীরা গত বিশ বছর ধরে চেষ্টা চালিয়ে আসছিলেন ।
মানুষ ও শূকরের কোষ একসঙ্গে মিশলে শূকরের দেহের ভাইরাস মানুষের শরীরে সঞ্চালিত হতে পারে। এখন এই গবেষণার ফলাফল সেই আশংকা দূর করার পথে বড় একটা অগ্রগতি বলে বিজ্ঞানীরা মনে করছেন।
তবে তারা বলেছেন এখনও এই গবেষণা প্রাথমিক পর্যায়ে আছে এবং মানুষের শরীরে শূকরের প্রত্যঙ্গ প্রতিস্থাপন করলে মানুষের শরীরে তা কোনধরনের জটিলতা সৃষ্টি করবে কীনা সে বিষয়ে পুরোপুরি নিশ্চিত হতে আরও গবেষণার প্রয়োজন।
পরীক্ষা পর্যায়ে থাকা এ গবেষণা প্রয়োগেও সফল হলে চিকিৎসা বিজ্ঞানের ক্ষেত্রে যে যুগান্তকারী ভূমিকা রাখবে তা বলার অপেক্ষা রাখেনা।