বিমানের সাবেক পরিচালক ও ডিজিএম গ্রেপ্তার

img

নিজস্ব প্রতিবেদক:

কার্গো হ্যান্ডেলিংয়ের ১১৮ কোটি টাকা দুর্নীতির অভিযোগে বিমানের সাবেক পরিচালক আলী আহসান বাবু এবং সাবেক ডিজিএম ইফতেখার হোসেন চৌধুরীকে গ্রেপ্তার করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। মঙ্গলবার দুপুরে রাজধানীর সেগুনবাগিচা এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।

দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা প্রণব কুমার মুখার্জি গ্রেপ্তারের তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ‘দুদকের উপ-পরিচালক নাসির উদ্দিনের নেতৃত্বে একটি টিম তাদের রাজধানীর সেগুনবাগিচা এলাকা থেকে গ্রেফতার করে।’

এর আগে গ্রেফতারকৃত দু’জনসহ মোট ১৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা করে দুদক।

মামলার অন্য আসামিরা হলেন ভারপ্রাপ্ত মহাব্যবস্থাপক (কার্গো) ম. হাবিবুল্লাহ আকন্দ, সাবেক সহকারী ব্যবস্থাপক ও বর্তমানে সৌদি আরবে কান্ট্রি ম্যানেজার মো. শহিদুল ইসলাম, সাবেক সহকারী ব্যবস্থাপক ও বর্তমানে সৌদি আরবের শহর রিয়াদের রিজিওনাল ম্যানেজার আমিনুল হক ভূঁইয়া, সাবেক সহকারী ব্যবস্থাপক মো. লুতফে জামাল, সাবেক সহকারী ব্যবস্থাপক মোশাররফ হোসেন তালুকদার, সাবেক সহকারী ব্যবস্থাপক রাজীব হাসান, সাবেক সহকারী ব্যবস্থাপক নাসির উদ্দীন তালুকদার, সাবেক সহকারী ব্যবস্থাপক অনুপ কুমার বড়ুয়া, সাবেক সহকারী ব্যবস্থাপক কে এন আলম, কার্গো আমদানি শাখার সহকারী ব্যবস্থাপক মো. ফজলুল হক, সাবেক সহকারী ব্যবস্থাপক সৈয়দ আহমেদ পাটওয়ারী, সাবেক সহকারী ব্যবস্থাপক মনির আহমেদ মজুমদার, সাবেক সহকারী ব্যবস্থাপক এ কে এম মনজুরুল হক এবং সাবেক সহকারী ব্যবস্থাপক মো. শাহজাহান।

২০১২ থেকে ২০১৭ সালের মধ্যে বিমানের কার্গো শাখায় ১১৮ কোটি টাকা ক্ষতি সাধনের অভিযোগে মামলাটি করেন দুদকের উপ-পরিচালক নাসির উদ্দিন।

এজাহরে বলা হয়, পরস্পর যোগসাজসে ও ক্ষমতার অপব্যবহার করে বিমানের কার্গো গ্রাউন্ড হ্যান্ডেলিং শাখা সরকারের এই টাকার ক্ষতিসাধন করে।

বিমানের অভ্যন্তরীণ নিরীক্ষার হিসাব মতে, ২০০৮ সাল থেকে প্রতি বছর কার্গো হ্যান্ডলিং চার্জ বাবদ ৭৬ কোটি টাকা লুটপাট হয়েছে। ১০ বছরে উল্লিখিত খাত থেকে হাজার কোটি টাকার আত্মসাৎ করা হয়েছে। শীর্ষ কর্তারা অনেকে দুবাইতে ব্যবসা-বাণিজ্য বাড়ি-গাড়ি কিনেছেন। তাদের বিরুদ্ধে বিচার বিভাগীয় তদন্ত হওয়া উচিত বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা।