নিজস্ব প্রতিবেদক:
ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের বহিষ্কৃত সভাপতি ইসমাইল হোসেন চৌধুরী সম্রাট ও তার সহযোগী ঢাকা মহানগর যুবলীগের বহিষ্কৃত নেতা এনামুল হক আরমানের বিরুদ্ধে মাদক মামলায় চার্জশিট দাখিল করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটেলিয়ন-র্যাব।
সোমবার (৯ ডিসেম্বর) ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে (সিএমএম) এই অভিযোগপত্র জমা দেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা র্যাব-২ এর উপ-পরিদর্শক মো. আবদুল হালিম। রাষ্ট্রপক্ষে ২০ জন সাক্ষী থাকার কথা বলা হয়েছে অভিযোগপত্রে।
অস্ত্র ও মাদকের মামলায় গত ১৫ অক্টোবর সম্রাটকে ১০ দিনের জন্য রিমান্ডে পাঠান আদালত। তার সহযোগী আরমানকে মাদক মামলায় পাঁচ দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়।
কাকরাইলে সম্রাটের কার্যালয়ে পাঁচটি বুলেটসহ অবৈধ পিস্তল উদ্ধারের পর তার বিরুদ্ধে এই মামলা করেছিল র্যাব। অবৈধভাবে সম্পদ অর্জনের মামলাতেও তাকে রিমান্ডে নেওয়া হয়েছিল।
অভিযোগ রয়েছে, ঢাকার দক্ষিণ যুবলীগের সভাপতি থাকার সময় রাজধানীতে বিভিন্ন ক্লাব পরিচালনা করতেন সম্রাট। তার ছত্রছায়ায় এসব ক্লাবে ক্যাসিনোসহ জুয়ার আসর বসত। সরকারি ও বেসরকারি আর্থিক প্রতিষ্ঠানে চাঁদাবাজি ও টেন্ডারবাজি করতেন তিনি।
গত ৬ অক্টোবর সম্রাট ও তার সহযোগী আরমানকে কুমিল্লা থেকে গ্রেফতার করা হয়। সেখান থেকে তাদের ঢাকায় এনে র্যাব সম্রাটকে নিয়ে তার কাকরাইলের কার্যালয়ে অভিযান চালায়। সম্রাটের কার্যালয়ে ক্যাঙারুর দুটি চামড়া, ইয়াবা, বিদেশি মদ, অস্ত্র পাওয়া যায়। এর পরদিন র্যাব বাদী হয়ে সম্রাটের বিরুদ্ধে মাদক ও অস্ত্র আইনে রমনা থানায় পৃথক দুটি মামলা দায়ের করে।
র্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. সারওয়ার আলম বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ আইনে সম্রাটকে ছয় মাসের ও অবৈধ মদ রাখার জন্য আরও ছয় মাসের কারাদণ্ড দেন।