বালিশ-কাণ্ডে গণপূর্তের প্রধান প্রকৌশলীসহ গ্রেফতার ১৩

img

নিজস্ব প্রতিবেদক:

পাবনার রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পে বালিশকাণ্ডে গণপূর্ত অধিদপ্তরের সাবেক প্রধান প্রকৌশলী মাসুদুল আলমসহ ১৩ প্রকৌশলীকে গ্রেপ্তার করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। বৃহস্পতিবার রাজধানীর সেগুনবাগিচা এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তাররা হলেন- পাবনা গণপূর্ত বিভাগের সাবেক নির্বাহী প্রকৌশলী মাসুদুল আলম, উপ-সহকারী প্রকৌশলী মো. জাহিদুল কবির, মো. শফিকুল ইসলাম, সুমন কুমার নন্দী, মোহাম্মদ আবু সাঈদ, মো. রওশন আলী, উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী মোহাম্মদ মোস্তফা কামাল, আহমেদ সাজ্জাদ খান, মোহাম্মদ তাহাজ্জুদ হোসেন, সহকারী প্রকৌশলী মো. তারেক খান, আমিনুল ইসলাম, ঠিকাদার আসিফ হোসেন ও শাহাদাত হোসেন।

অভিযানের সময় অংশ নেওয়া দুদকের এক কর্মকর্তা তাদের গ্রেপ্তারের তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তবে দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা প্রণব কুমার ভট্টাচার্য বলেন, ‘গ্রেপ্তারের খবর শুনেছি। তবে এখন অফিসিয়ালি কিছু জানানো হয়নি। জানতে পারলে জানাব।’

এর আগে বালিশকাণ্ডের ঘটনায় তাদের বিরুদ্ধে চারটি মামলা করে দুদক।

রূপপুর প্রকল্পের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বসবাসের জন্য নির্মাণাধীন গ্রিনসিটি আবাসন প্রকল্পের ২০ ও ১৬ তলা ভবনের আসবাবপত্র ও প্রয়োজনীয় মালামাল কেনা ও ভবনে উত্তোলন কাজে অস্বাভাবিক ব্যয় নিয়ে গণমাধ্যমে প্রতিবেদন প্রকাশ হলে গত ১৯ মে গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় দুটি তদন্ত কমিটি গঠন করে।

দুর্নীতির নমুনা তুলে ধরে গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়, একটি বালিশের পেছনে ব্যয় দেখানো হয়েছে ৬ হাজার ৭১৭ টাকা। এরমধ্যে, বালিশের দাম ৫ হাজার ৯৫৭ টাকা, আর সেই বালিশ ফ্ল্যাটে ওঠানোর খরচ ৭৬০ টাকা দেখানো হয়েছে। একইভাবে টেলিভিশন, খাট, রেফ্রিজারেটর, বৈদ্যুতিক চুলা, বৈদ্যুতিক কেটলি, রুম পরিষ্কারের মেশিন, ইলেকট্রিক আয়রন, মাইক্রোওয়েভ ইত্যাদি কেনাকাটা ও ভবনে তুলতে অস্বাভাবিক খরচ দেখানো হয়।

গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের দুই কমিটির তদন্তেই ৬২ কোটি ২০ লাখ ৮৯ হাজার টাকার অনিয়মের কথা উঠে আসে। যেখানে চুক্তিমূল্যের চেয়ে ৩৬ কোটি ৪০ লাখ টাকা বেশি সরকারি কোষাগারে ফেরত আনতে সুপারিশসহ বিষয়টি দুদকে পাঠানো হয়। হাইকোর্টের নির্দেশে গত জুলাইয়ে আদালতে জমা দেওয়া ওই তদন্ত প্রতিবেদনে দুর্নীতির জন্য ৩৪ প্রকৌশলীকে দায়ী করা হয়।