সম্পাদকীয়:
শ্রদ্ধেয় মাহমুদ পারভেজ জুয়েল বাবার চাকুরির সুবাদে ১৯৪৮ সালে টাঙ্গাইল জেলার গোপালপুর থানায় জন্ম গ্রহণ করেন।
তিনি বরিশার জেলার বাবুগঞ্জ উপজেলার দেহেরগাতী গ্রামের এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারের সন্তান।
বাবা মরহুম আব্দুল মালেক ছিলেন ১৯৭১ সালে তৎকালিন পুলিশ কর্মকর্তা ।
স্বাধীনতা যুদ্ধে আব্দুল মালেকের ভূমিকাও ছিল অতুলনীয়, তখন তিনি টাঙ্গাইলের মধুপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ছিলেন ।
তখন তিনি মুক্তিযোদ্ধাদের সংগঠকের ভূমিকা পালন করেছেন এবং মুক্তিযোদ্ধাদের অস্র দিয়ে সহযোগিতা করেছেন।
মাহমুদ পারভেজ জুয়েল পেশায় অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মকর্তা ।তিনি সর্বশেষ বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা কল্যন ট্রাস্টের প্রতিষ্ঠান গুলিস্থান কমপ্লেক্সের
প্রতিষ্ঠান প্রধান এবং জিএম এর পদ থেকে অবসরে যান। ০৫ ভাই এক বোনের মধ্যে তিনি মেজো, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অনার্সসহ মাস্টার্স করেছেন।
ক্রীড়া জগতেও তিনি সফল, খেলেছেন ফাস্ট ডিভিশনে এবং সর্বশেষ ১৯৭৭ সালে ব্রাদার্স ইউনিয়নে খেলে পায়ে ব্যাথা পেয়ে খেলা ছাড়েন।
সোনালী অতিত ক্লাবের নিয়মিত খেলোয়ার ও সহ-সভাপতি ছিলেন। এছাড়াও তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে তিনটি ডিসিপ্লেন রিপ্রেজেন্ট করতেন- ফুটবল,ক্রিকেট ও এথলেটিকস
১৯৭১ সালের মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে হারিয়েছেন ০৫ টি অঙ্গ,ডান হাতে ও বাম চোখে লেগেছে গুলি। চাকরীর পেনশনের টাকা আর রাস্ট্রিয় সম্মনী ভাতার টাকা দিয়ে সাধারণ জীবন যাপন করেন।
তিনি দীর্ঘ ০৮ বছর বিনা প্রতিদ্ধিতায় বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা কল্যন ট্রাস্টের অফিসার এসোসিয়েশনের সভাপতি ছিলেন।
সাংগঠনিক থেকে স্বাধিনতার অগে থেকেই বাংলাদেশ ছাএলীগের সক্রিয় কর্মী ছিলেন ।
চাকুরী জীবনেও আওয়ামীলীগের সর্মথক হওয়ার কারনে বিএনপি ও জোট সরকারের আমলে তিন বার চাকুরী হারান।
তিনি বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদের আওতাধীন যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা ইউনিট সাবেক কমান্ডার ছিলেন।বর্তমানে খেতাবপ্রাপ্ত, যুদ্ধাহত ও শহীদ পরিবার কেন্দ্রীয় কমান্ডের চেয়ারম্যান ও বঙ্গবন্ধু
সৈনিকলীগের কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতির এবং প্রজন্মের কন্ঠস্বর ২৪ ডট কম অনলাইন নিউজ পোর্টালটির প্রধান উপদেষ্টার দায়িত্ব পালন করছেন।
এ ব্যতিত তিনি খেতাবপ্রাপ্ত, যুদ্ধাহত ও শহীদ পরিবার বহুমুখি সমবায় সমিতির চেয়ারম্যান ।
তাছাড়াও তিনি প্রতিদিন খেতাবপ্রাপ্ত, যুদ্ধাহত ও শহীদ পরিবারের সদস্যদের কল্যানে যেকোন সমস্যা সমাধানে সহযোগিতা করে যাচ্ছেন।
পাশাপাশি থেকে তাকে সহযোগিতা করে যাচ্ছেন যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা এস এম আনোয়ার হোসেন পাহাড়ী (বীর প্রতিক) প্রমূখ।
লেখক ও গবেষক:
এ.এন.এম. ওয়ালীউর রহমান মোল্লা,
বি.এসসি(অনার্স),এম.এসসি,এলএলবি
সম্পাদক ও প্রকাশক,
প্রজন্মের কন্ঠস্বর ২৪ ডট কম