জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে হলো প্রজাপতি মেলা

img

বিশেষ প্রতিবেদক:

প্রকৃতির এক অপরূপ সৌন্দর্য্যরে নাম প্রজাপতি। সে নিজে যেমন সুন্দর, তেমনি তার হরেক রঙের বর্ণচ্ছটায় প্রকৃতিকেও রাঙায়। উদ্বেলিত করে মানুষের মন, নজর কাড়ে সব বয়সী মানুষের। গাছে-গাছে, ফুলে- ফুলে, লতায়- পাতায় উড়ে বেড়ানো প্রজাপতি দেখতে বোধকরি, সবারই ভালো লাগে। সবারই ইচ্ছে হয় প্রজাপতিকে ধরতে। দুরন্তপনা প্রজাপতির সাথে দুরন্তপনায় হারিয়ে যেতে। সেজন্যই ইট-কাঠের এই যান্ত্রিক নগরীর মানুষগুলোকে কিছুটা সময়ের জন্য দুরন্তপনার স্বাদ পাইয়ে দিতেই শুক্রবার জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত হয়েছে ‘প্রজাপতি মেলা- ২০১৯’।

বিশ্ববিদ্যালয়ের জহির রায়হান মিলনায়তনে শুক্রবার সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত মেলা চলে।

‘উড়লে আকাশে প্রজাপতি, প্রকৃতি পায় নতুন গতি’ এ শ্লোগানকে সামনে রেখে প্রতিবারের মতো এবারও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে ১০ম বারের মতো উৎযাপন হলো প্রজাপতি মেলা। মেলাকে ঘিরে উৎসবমুখর পুরো ক্যাম্পাস। সকাল থেকে প্রকৃতির কোলে রং ছড়ানো এ কীটটিকে দেখতে সব বয়সী মানুষ অংশ নেন এ মেলায়।

সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের জহির রায়হান মিলনায়তনের সামনে প্রজাপতি অবমুক্ত ও বেলুন উড়িয়ে প্রজাপতি মেলার উদ্বোধন করা হয়।

সবুজের বুকে রং ছড়িয়ে ডানা ঝাপটিয়ে খেলা করছে হরেক রকম প্রজাপতি। এতে মোহিত হচ্ছে নানা বয়সের দর্শনার্থীরা। বিচিত্র ও মনোমুগ্ধকর এসব প্রজাপতি শুধু পরিবেশের সৌন্দর্যই না। এরা পরাগায়নের মাধ্যমে পরিবেশ সংরক্ষণেও ভূমিকা রাখে।

দিনব্যাপী এ অন্যন্য আয়োজনে ছিল মেলা উদ্বোধন ও প্রজাপতিবিষয়ক এ্যাওয়ার্ড প্রদান, প্রজাপতিবিষয়ক ছবি আঁকা ও প্রতিযোগিতা (শিশু-কিশোরদের জন্য), আলোকচিত্র প্রদর্শনী ও প্রতিযোগিতা, প্রজাপতির হাট দর্শন (জীবন্ত প্রজাপতি প্রদর্শন), প্রজাপতির আদলে ঘুড়ি উড়ানো, বারোয়ারি বিতর্ক, প্রজাপতি চেনা প্রতিযোগিতা, প্রজাপতিবিষয়ক ডকুমেন্টারি প্রদর্শনী ও পুরস্কার বিতরণী।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে মেলা আয়োজক কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক মনোয়ার হোসেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক সাদিয়া আহমদ, পাখি বিশেষজ্ঞ ইনাম আল হক, আইসিইউএন’র সাবেক কান্ট্রি ডিরেক্টর ইশতিয়াক উদ্দিন আহমেদ, বন অধিদপ্তরের বন্যপ্রাণী অপরাধ দমন ইউনিটের পরিচালক এএসএম জহির উদ্দিন আকন্দ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

উদ্বোধনের পর বর্ণাঢ্য র‌্যালি বের করা হয়। র‌্যালিটি বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে জহির রায়হান মিলনায়তনের সামনে এসে শেষ হয়।

এবারের মেলায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক এম এ বাশারকে প্রজাপতি বিষয়ক গবেষণার জন্য ও সবুজবাগ সরকারি কালেজের শিক্ষার্থী অরুনাভ ব্রনোকে বাটারফ্লাই ইয়ং এওয়ার্ড প্রদান করা হয়।