তথ্যপ্রযুক্তি ডেস্ক:
২০১৯ সালে নতুন জেনারেশনের ওয়াইফাই ৬ প্রযুক্তি সামনে এসেছিল। ২০২০ সালে গোটা বিশ্বের বিভিন্ন ডিভাইসে এই প্রযুক্তি ব্যবহার শুরু হচ্ছে। সম্প্রতি সিনেট ওয়েবসাইটে এই বিষয়ে একটি রিপোর্ট প্রকাশিত হয়েছে। সেখানে জানানো হয়েছে, ‘নতুন স্ট্যান্ডার্ডে আগের থেকে দ্রুত ও দক্ষভাবে ডেটা ট্রান্সফার করা যাবে।’
ইতিমধ্যেই অ্যাপেল আইফোন ১১ সিরিজ, স্যামসাং গ্যালাক্সি নট ১০ সিরিজের মতো প্রিমিয়াম স্মার্টফোনে ওয়াইফাই ৬ ব্যবহার শুরু হয়েছে। ২০২০ সালে আরও বেশি সংখ্যক স্মার্টফোন ও অন্যান্য ডিভাইসে ওয়্যারলেস কানেক্টিভিটির জন্য ওয়াইফাই ৬ ব্যবহার শুরু হবে।
২০২০ সালের জানুয়ারি মাসের প্রথম সপ্তাহে শুরু হচ্ছে কনসিউমার ইলেকট্রনিক শো। এই ইভেন্ট থেকে বিভিন্ন কোম্পানি ওয়াইফাই ৬ সহ ডিভাইস লঞ্চের ঘোষণা করবে।
কয়েক দিন আগে ডিজিটাল ট্রেন্ডসে প্রকাশিত রিপোর্টে জানানো হয়েছে, ওয়াইফাই ৬ এর মাধ্যমে এমইউ-এমআইএমও প্রযুক্তি সাপোর্ট করবে। এছাড়াও আগের থেকে অনেক দ্রুত কাজ করবে ওয়াইফাই ৬। ওয়াইফাই কানেকশনের অন্যতম খারাপ দিক হলো বাড়ির সব কোনায় একই শক্তির সিগন্যাল পাওয়া যায় না।
ওয়াইফাই ৬ প্রযুক্তির মাধ্যমে এই সমস্যার সমাধান হবে। এই জন্য নতুন ওয়াইফাই ৬ প্রযুক্তিতে বিশেষ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ফলে বাড়ির নির্দিষ্ট কোনায় কম ইন্টারনেট স্পিডের সমস্যার হাত থেকে রেহাই পাওয়া যাবে।
এছাড়াও ওয়াইফাই ৬ প্রযুক্তি ব্যবহারের ফলে বিভিন্ন ডিভাইসের ব্যাটারি লাইফে বিপুল উন্নতি হবে। ওয়াইফাই ৬ এ থাকছে টার্গেট ওয়েক টাইম নামের এক প্রযুক্তি। এর ফলে কখন ওয়াইফাই সিগন্যালের জন্য ওয়েক আপ প্রয়োজন তা নিজে থেকেই ঠিক করতে পারবে ডিভাইস।
এর ফলে ব্যাটারি ব্যাকআপে বিপুল উন্নতি দেখা যাবে। কোন ডিভাইসের ওয়াইফাই প্রয়োজন না হলে ট্রান্সমিশন নিজে থেকেই বন্ধ হয়ে যাবে। ফলে অকারণে ব্যাটারি ব্যবহার বন্ধ হবে।