ভোটারের দুয়ারে দুয়ারে দুই সিটি করপোরেশনের প্রার্থীরা

img

নিজস্ব প্রতিবেদক:

আসন্ন ঢাকা সিটি নির্বাচনে মেয়র ও কাউন্সিলর প্রার্থীদের প্রচারণা জমে উঠেছে। প্রতীক বরাদ্দের পর শুক্রবার শুরু হওয়া প্রচারণার দ্বিতীয় দিনে লিফলেট বিলি, গণসংযোগ, ভোটারের দুয়ারে দুয়ারে ধরনা দিয়েই কেটেছে প্রার্থীদের দিন।

গত শুক্রবার প্রতীক পেয়ে পুরোদমে নির্বাচনী প্রচার শুরু করেছেন ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনের মেয়র ও কাউন্সিলর প্রার্থীরা। প্রথম দিনেই মেয়র প্রার্থীদের অধিকাংশই দলীয় নেতাকর্মীদের নিয়ে ভোটের আনুষ্ঠানিক প্রচার শুরু করেছেন। কাউন্সিলর প্রার্থীরাও গেছেন ভোটারদের দ্বারে দ্বারে।

আতিকুল ইসলাম

ভোটের দিন কেন্দ্রে যাওয়ার অনুরোধ দিয়ে দ্বিতীয় দিনের প্রচারণা শুরু করেন উত্তরের নৌকার মাঝি আতিকুল ইসলাম। গতকাল সকালে মিরপুরে শাহ আলী মাজার জিয়ারত করে প্রচারণা শুরু করেন তিনি। তার সঙ্গে এসময় ঢাকা-১৪ আসনের সংসদ সদস্য আসলামুল হক আসলাম এবং ঢাকা-১৩ আসনের সংসদ সদস্য সাদেক খান, ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ বজলুর রহমান এবং সাধারণ সম্পাদক মান্নান কচিসহ অন্যান্য নেতারা ছিলেন।

আতিকুল বলেন, ‘সকলের জন্য এবারের নির্বাচন খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সবাই ভোটকেন্দ্রে যাবেন ও ভোট দেবেন। ঢাকাকে জনবান্ধব-নারীবান্ধব নগরী হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্য নিয়ে নয় মাস কাজ করেছি। সামনেও করতে চাই।’

এসময় তিনি নির্বাচিত হলে জলাবদ্ধতা নিরসন, যানজট দূর, এলইডি বাতি স্থাপনের অসম্পূর্ণ কাজসহ চলমান বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পগুলি ভালোভাবে সম্পন্ন করার প্রতিশ্রুতি দেন।

 

শেখ ফজলে নূর তাপস

ওয়ারীর ঐতিহাসিক রোজ গার্ডেন থেকে দ্বিতীয় দিনের মতো নির্বাচনী প্রচারণা শুরু করেন নৌকার মাঝি তাপস। এরপর গণসংযোগ চালিয়ে প্রতিদ্বন্বি প্রার্থী ইশরাক হোসেনের গোপীবাগের বাসায় গিয়ে ভোট চেয়েছেন।

 

তাপস বলেন, ‘এখন থেকে ঢাকায় সম্প্রীতির রাজনীতি চলবে। সম্প্রীতির রাজনীতির মাধ্যমেই উন্নয়ন সম্ভব। ঢাকা শহরে মাদকসহ অন্যান্য অপরাধমূলক সামাজিক যে ব্যাধি রয়েছে, সেগুলো দূর করা হবে। আমরা এলাকাভিত্তিক সমস্যা সমাধান করব। আমরা ঢাকাকে উন্নত দেশের উন্নত রাজধানী হিসেবে গড়ে তুলব। প্রত্যেকটা ওয়ার্ডে খেলাধুলার পর্যাপ্ত ব্যবস্থা করা হবে। আমাদের মা-বোন ও মুরব্বিদের জন্য পর্যাপ্ত হাঁটার ব্যবস্থা করা হবে। বর্তমানে ঢাকা অচল হয়ে গেছে। তাই আমরা এই অচল ঢাকাকে সচল করব।’

ইশরাক হোসেন

কমলাপুর রেলস্টেশন থেকে দ্বিতীয় দিনের প্রচারণা শুরু করেন ধানের শীষের ইশরাক হোসেন। বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আব্দুস সালাম ও যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকনসহ দলের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা তার সঙ্গে ছিলেন।

তিনি বলেন, ‘আসন্ন ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে ব্যক্তি ইশরাক কিছুই না। এটা একটি দলের লড়াই, ধানের শীষের লড়াই। এটা মুক্তির লড়াই, আমাদের নেত্রীকে জেল থেকে বের করার লড়াই। আপনারা যদি দেশে শান্তি ফিরে পেতে চান, আপনাদের ভোটের অধিকার ফিরে পেতে চান, আপনারা যদি গণতন্ত্রকে রক্ষা করতে চান এবং দুর্নীতির যে মহোৎসব হচ্ছে তা থেকে মুক্তি পেতে চান তাহলে জোরালভাবে মাঠে থাকতে হবে। কোনোভাবেই আপনারা ভয় পাবেন না।’

 তাবিথ আউয়াল

 

উত্তরায় ৫০নং ওয়ার্ডে প্রচারণার মধ্য দিয়ে দ্বিতীয় দিনের প্রচারাভিযান শুরু করেন বিএনপির তাবিথ আউয়াল। বাড়ি বাড়ি গিয়ে তিনি ভোটারদের কাছে ধানের শীষে ভোট চান। তার সঙ্গে প্রচারণায় ছিলেন বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা নিপুণ রায় চৌধুরী, দলের উত্তরার স্থানীয় ও মহানগরের নেতাকর্মীরা।

তাবিথ বলেন, ‘৩০ ডিসেম্বর জাতীয় নির্বাচনে জনগণ ভোট দিতে পারেনি। প্রতিমুহূর্তে জনগণ এর জবাব দেওয়ার অপেক্ষায় রয়েছে। ৩০ জানুয়ারি সিটি করপোরেশনের ভোট দিয়ে তারা ওই দিনের জবাব দেবে। খালেদা জিয়ার মার্কা ধানের শীষ। সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থেকে এই প্রতীককে জেতাতে হবে। মানসিক ও শারীরিকভাবে শক্ত থাকতে হবে।’