‘সাজা স্থগিতে খালেদা জিয়া আবেদন করলে সরকার বিবেচনা করবে’

img

নিজস্ব প্রতিবেদক:

কারাবন্দি ও অসুস্থ বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া যদি সাজা স্থগিতের আবেদন করেন তাহলে সরকার বিবেচনা করবে বলে জানিয়েছেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম। 

মঙ্গলবার রাজধানীতে নিজ কার্যালয়ে সাজা স্থগিত করে বেগম জিয়ার মুক্তি চেয়ে তার আইনজীবীর দাবির বিষয়ে সাংবাদিকরা জানতে চাইলে এ কথা বলেন তিনি।

অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, ‘সাধারণত সাজা সাসপেন্ড (স্থগিত) করা হয় অনেকদিন সাজা খাটার পরে। অনেকদিন সাজা খাটার পরে সরকার বিশেষ বিবেচনায় এটা (সাজা স্থগিত) করে, করতে পারে।’

তিনি বলেন, জেলখানায় যারা থাকেন এবং বহুদিন কারাভোগ করেন, ৪০১ (১) ধারা (ফৌজদারি কার্যবিধি) অনুযায়ী তাদের নানাবিধ বিবেচনায় অনেক সময় সাজা স্থগিত করা হয়। কিন্তু তারা যদি প্রমাণ করতে পারেন তবে সে ব্যাপারে সরকার দেখবে।

এদিকে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, ফৌজদারী আইনে খালেদা জিয়ার সাজা কমানোর সুযোগ নেই তবে রাষ্ট্রপতির কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করলে বিবেচনা করার সুযোগ আছে।

সকালে রাজধানীর কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশনে বিভিন্ন ক্ষেত্রে অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ দশজনকে মানবাধিকার পদক প্রদান অনুষ্ঠান শেষে এসব কথা বলেন তিনি।

তিনি বলেন, সরকার মানবাধিকার রক্ষায় বদ্ধপরিকর এবং সে অনুযায়ী কাজ করে যাচ্ছে। বাকপ্রকাশে, মতপ্রকাশে গণমাধ্যমের স্বাধীনতাই তার প্রমাণ।

মন্ত্রী আরও বলেন, সরকারের অর্জন অনেক তবে চ্যালেঞ্জও রয়েছে। কোন অবস্থাতেই বিচারহীনতার সংস্কৃতি রাখতে চায় না সরকার। একই অনুষ্ঠানে মানবাধিকারকর্মী সুলতানা কামাল বলেন, মানবাধিকর্মীরা রাষ্ট্রের সহযোগী হতে চায়। একইসঙ্গে রাষ্ট্র যেন নারীবৈরী ও মানুষের স্বার্থবিরোধী অপশক্তির সাথে আপোষ না করে সে আহ্বান জানান তিনি।

এর আগে গত বৃহস্পতিবার ফৌজদারী কার্যবিধির ৪০১ (১) ধারায় সাজা স্থগিত করে খালেদা জিয়ার মুক্তি দাবি করেন জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের আহবায়ক জ্যেষ্ঠ আইনজীবী খন্দকার মাহবুব হোসেন।

ওইদিন খালেদা জিয়ার অন্যতম এই আইনজীবী বলেছিলেন, ‘জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট ও জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় খালেদা জিয়া কারাগারে আছেন। ফৌজদারি কার্যবিধির ৪০১ (১) ধারা মোতাবেক খালেদা জিয়ার দণ্ডাদেশ স্থগিত করে তার ইচ্ছামতো চিকিৎসা নিতে দেশে/বিদেশে সুযোগ দেয়ার দাবি জানাচ্ছি।’