আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
পিতৃত্বকালীন ছুটিতে যাচ্ছেন জাপানের পরিবেশমন্ত্রী শিনজিরো কোইজুমি। দেশটিতে এ ধরনের ছুটি নেওয়ার কথা শোনা যায়নি।
চলতি মাসের শেষে সন্তান ভূমিষ্ঠ হলে তার লালন-পালনের উদ্দেশ্যে পিতৃত্বকালীন ছুটিতে যাওয়ার কথা জানিয়েছেন জাপানের পরিবেশমন্ত্রী শিনজিরো কৌজুমি। দেশটির ইতিহাসে মন্ত্রিসভার প্রথম সদস্য হিসেবে পিতৃত্বকালীন ছুটিতে যাচ্ছেন তিনি। মূলত সন্তান যত্নে পিতাদের উৎসাহিত করতেই তিনি এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা জানায়, দেশটিতে ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যার বার্ধক্য ও জন্মহার কমে যাওয়ার কারণে সরকার পিতৃত্বকালীন ছুটিকে উৎসাহ দিচ্ছে। গত মাসে সরকারি কর্মীদের জন্য একমাসের বেশি পিতৃত্বকালীন ছুটির অনুমোদন দিয়ে একটি নীতি পাস করেছে।
গত বুধবার দেশটির সাবেক প্রধানমন্ত্রী জুনিচিরো কৌজুমির ছেলে ও বর্তমান পরিবেশমন্ত্রী শিনজিরো কৌজুমি বলেছেন, আগামী তিন মাসের মধ্যে দুই সপ্তাহের ছুটি নেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে। পার্লামেন্ট ও মন্ত্রিসভায় যেন তার দায়িত্ব ক্ষতিগ্রস্ত না হয় এই শর্তে তিনি ছুটি নেবেন।
তিনি আরো বলেন, এটি কঠিন সিদ্ধান্ত ছিল। কিন্তু তিনি এই পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করবেন। যেন তার মন্ত্রণালয়ে কর্মরত বাবারাও সন্তানের লালন পালনে উৎসাহিত হন।
জাপানে সন্তান জন্ম উপলক্ষে নারী-পুরুষ উভয়েই এক বছরের মতো ছুটি নিতে পারেন। তবে কাজের চাপে সেখানকার বাবারা পিতৃত্বকালীন ছুটি নেন না বললেই চলে। ২০১৮ সালের এক পরিসংখ্যানে দেখা যায়, ওই বছর দেশটির মাত্র ৬ শতাংশ পুরুষ এই ছুটি নিয়েছিলেন। অন্যদিকে সন্তান জন্মদানের সময় শতকরা ৮২ শতাংশ নারী মাতৃত্বকালীন ছুটি নিয়েছিলেন।
গত বছরই পিতৃত্বকালীন ছুটিতে যাওয়ার কথা ঘোষণা করেন কোইজুমি। আর তখন থেকেই এ নিয়ে দেশ জুড়ে নানা আলোচনা সমালোচনা চলছে। যদিও এগুলোকে পাত্তা দিতে রাজি নন তরুণ মন্ত্রী কোইজুমি।