বিপিএলে নতুন চ্যাম্পিয়ন রাজশাহী রয়্যালস

img

ক্রীড়া প্রতিবেদক:

নতুন চ্যাম্পিয়ন পেল বিপিএল। শুক্রবার বঙ্গবন্ধু বিপিএলের ফাইনাল ম্যাচে খুলনা টাইগার্সকে ২১ রানে হারিয়ে শিরোপা ঘরে তুলল রাজশাহী রয়্যালস। বিপিএলে রাজশাহীর এটি প্রথম শিরোপা। এদিন রাজশাহীর দেয়া ১৭১ রানের জয়ের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৮ উইকেটে ১৪৯ রান করতে সক্ষম হয় খুলনা।

দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৫২ রান করেন শামসুর রহমান। ২৬ বলে ৩৭ করেন রুশো। ১৫ বলে ২১ করেন মুশফিক। রাজশাহীর বোলারদের মধ্যে মোহাম্মদ ইরফান ৪ ওভারে ১৮ রান দিয়ে ২টি উইকেট নেন। এছাড়া আবু জায়েদ ১টি, আন্দ্রে রাসেল ২টি, মোহাম্মদ নওয়াজ ১টি ও কামরুল ইসলাম রাব্বী ২টি করে উইকেট নেন।

খুলনা ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুতেই দুই ওপেনারকে হারায়। দলীয় শূন্য রানে ফিরে যান শান্ত। দলীয় ১১ রানে বিদায় নেন অপর ওপেনার মিরাজ। এরপর শামসুর ও রুশোর ব্যাটে ঘুরে দাঁড়ায় খুলনা। দুজনে ৭৪ রানের জুটি গড়েন। দলীয় ৮৫ রানে এই জুটি ভাঙেন মোহাম্মদ নওয়াজ।

১৪তম ওভারে শামসুর ও নাজিবউল্লাহকে ফিরিয়ে বড় ধাক্কা দেন রাব্বী। খুলনা এই ধাক্কা আর সামলে উঠতে পারেনি। মুশফিককে নিয়ে ভরসা থাকলেও ১৫ বলে ২১ করে ফিরে যান তিনি।

এর আগে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে ইরফান শুক্কুরের হাফ সেঞ্চুরি এবং নওয়াজ ও রাসেলের ঝড়ো ইনিংসের উপর ভর করে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৪ উইকেটে ১৭০ রান সংগ্রহ করে রাজশাহী রয়্যালস।

১৫ ওভার শেষে রাজশাহীর স্কোর ছিল ৪ উইকেটে ১০০ রান। শেষ ৫ ওভারে কোনো উইকেট না হারিয়ে ৭০ রান করে তারা। ওয়ানডাউনে নেমে ৩৫ বলে ৫২ করে আউট হন ইরফান শুক্কুর। ১৬ বলে ২৭ করে অপরাজিত থাকেন রাসেল। ২০ বলে ৪১ করে অপরাজিত থাকেন মোহাম্মদ নওয়াজ। খুলনার বোলারদের মধ্যে মোহাম্মদ আমির ২টি, ফ্রাইলিঙ্ক ১টি ও শহীদুল ১টি করে উইকেট নেন। 

মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে রাজশাহী ব্যাটিংয়ে নেমে দলীয় ১৪ রানে প্রথম উইকেট হারায়। আমিরের বলে মিরাজের দুর্দান্ত ক্যাচে ফিরে যান ওপেনার আফিফ হোসেন। ৮ বলে ১০ রান করেন তিনি। এরপর ৪৯ রানের জুটি গড়েন ইরফান শুক্কুর ও লিটন দাস।

বিপিএলে দারুণ ফর্মে থাকলেও ফাইনাল ম্যাচে ভালো কিছু করতে পারেননি লিটন। ২৮ বলে ২৫ করে দলীয় ৬৩ রানে বিদায় নেন তিনি। এরপর শোয়েব মালিক নেমে ১৩ বলে ৯ রান করে প্যাভিলিয়নের পথ ধরেন।

অন্য প্রান্তের ব্যাটসম্যানরা সুবিধা না করতে পারলেও দারুণ খেলছিলেন ইরফান শুক্কুর। ৩০ বলে ব্যক্তিগত অর্ধশত পূরণ করার পর ইনিংসকে বড় করতে পারেননি তিনি। ব্যক্তিগত ৫২ রানে শফিউলের হাতে ক্যাচ হয়ে ফেরেন তিনি। পরে রাসেল ও নওয়াজ ৭১ রানের জুটি গড়ে অপরাজিত থাকেন।


এই বিভাগের আরও খবর