নিজস্ব প্রতিবেদক:
আওয়ামী লীগের ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে সাংগঠনিক অভিভাবক আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা বলেছেন, ছাত্রলীগকে রাজনীতি করতে হলে শিক্ষাটা আগে অর্জন করতে হবে। শিক্ষাটা সব কিছুর আগে। বর্তমানে শিক্ষা ছাড়া কোনো কাজ করা যায় না। আর শিক্ষা-গবেষণা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ছাত্রলীগকে রাজনীতি করতে হলে শিক্ষাটা আগে অর্জন করতে হবে। আর ছাত্রলীগের হাতে আমি কাগজ-কলমই তুলে দিয়েছি। প্রত্যেকটা ছাত্রের উচিত শিক্ষা গ্রহণ করা।
শুক্রবার ( ১৭ জানুয়ারি) আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ছাত্রলীগের ‘লিডারশীপ ওরিয়েন্টেশন’ কার্যক্রম অনুষ্ঠানে মোবাইল ফোনে তিনি এসব কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ছাত্রলীগের সবাইকে বলবো বঙ্গবন্ধুর ‘অসমাপ্ত আত্মজীবনী’ সবার পড়তে হবে, আর পরবর্তীতে কারাগারের রোজনামচা টাও। ছাত্রলীগের মূল লক্ষ্য শিক্ষা, শান্তি, প্রগতি। প্রত্যেক ছাত্রকে মনে রাখতে হবে, বাবা-মা অনেক কষ্ট করে সন্তানকে মানুষ করে। কাজেই সে সন্তান বাবা-মার মুখ উজ্জ্বল করবে, বাবা-মার আকাঙ্ক্ষা পূরণ করবে। বাবা-মার মর্যাদা যেন ঠিক থাকে। এটা হচ্ছে সবচেয়ে মহান দায়িত্ব। আর বাবা মাকে সম্মান জানানোর মধ্য দিয়ে দেশকে ভালোবাসতে হবে।
শেখ হাসিনা বলেন, মানুষের জন্য কাজ করতে হবে। আর যেকোন কাজ করতে গিয়ে মাথায় রাখতে হবে নিজের জন্য নয়, প্রথমে আমার পরিবার, বাবা-মা তাদের প্রতি আমাদের কর্তব্য। সেই সাথে দেশের কিছু লক্ষ্য-উদ্দেশ্য মানুষের জন্য কাজ করা একজন রাজনৈতিক নেতার জন্য। আমাদের মহান নেতা সবসময় একটা আদর্শ সামনে নিয়ে রাজনীতি করেছেন। আর একটা লক্ষ্য রেখেছেন; যে লক্ষ্য থেকে কখনো তিনি বিচ্যুত হননি এবং চলার পথে অনেক সময় চড়াই-উতড়াই পার হতে হয় এবং সেভাবেই তিনি ধাপে ধাপে এগিয়েছেন।
সরকার প্রধান বলেন, দেশ স্বাধীন করা, বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া, দেশকে আত্মমর্যাদাশীল করা, দেশকে নেতৃত্ব দেওয়া সব ক্ষেত্রেই ছাত্রলীগ এগিয়ে এসেছে। কাজেই ছাত্রলীগের দায়িত্বটা দেশের প্রতি অনেক বড়। আমরা মুজিববর্ষের ক্ষণগণনা শুরু করে দিয়েছি। ১৭ই মার্চ আমরা মুজিববর্ষ উদযাপন শুরু করব। আর কিছু খেলাধুলা ফুটবল, ক্রিকেট এগুলোর আয়োজন করবো। আমরা বহুমুখী কর্মসূচি নিয়েছি। শুধুমাত্র সরকারি কর্মসূচিই না, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান বিভিন্ন জায়গা থেকে মুজিববর্ষ পালন করবে।
ছাত্রলীগের উদ্দেশ্য আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, এখানে বসে তোমরা যেটুকু শিখলে, জানলে, তোমরা যে যখন নিজের বাড়িতে, নিজের এলাকায়, নিজের দেশে যাবে, সেখানে যারা ছাত্র-ছাত্রী আছে, এক নম্বর যে কাজ তা হলো- দেখবা কোন নিরক্ষর আছে কিনা। বের করবা, তাদেরকে স্বাক্ষরজ্ঞান দিবা। আর তোমার এলাকার দরিদ্র, অসচ্ছল মানুষ আছে তাদের জন্য আমি ঘর করে দিব, খাবারের ব্যবস্থা করবো। তাদের অসুবিধা শুনবা, কি দরকার তা জানবা। আর কোন কাজেই অসম্মান হয় না। ধান কাটা থেকে শুরু করে, গাছ লাগানো, মাটি কাটা সব কর্মেরই একটা মর্যাদা আছে। একথাটা মনে রাখবা, জাতির পিতা সবসময় এদেশের কৃষক ও মেহনতি মানুষের কথা বলেছেন। এখন ছাত্রলীগের সামনে অনেক কাজ। কাজেই সেভাবেই শিক্ষা ও আদর্শ নিয়ে গড়ে তুলো।