সিটি নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে বিএনপি ষড়যন্ত্র করছে: ওবায়দুল কাদের

img

নিজস্ব প্রতিবেদক:

সিটি করপোরেশন নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে বিএনপি ষড়যন্ত্র করছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে তাদের টালবাহানার শেষ নেই। নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করার পথ তারা খুঁজছে। নির্বাচনে হারলেই ইভিএম খারাপ এবং জিতলে ইভিএম ভালো বিএনপি'র এই হলো বিএনপির অবস্থা।

শনিবার (১৮ জানুয়ারি) ধানমন্ডি আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি। 

বিএনপি সবসময় দিবা স্বপ্ন দেখে উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, একাদশ জাতীয় সংসদের নির্বাচনে বিএনপি বলেছিল, তারা সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাবে, তারা বলেছিল, বিএন‌পির প‌ক্ষে গণজোয়ার সৃষ্টি হয়েছে। ফলাফল কি হ‌য়ে‌ছে তা জা‌তি দে‌খে‌ছে। তারা সবসময় দিবা স্বপ্ন দেখে। এবারও সিটি করপোরেশনের নির্বাচনের আগে তারা বলছে তাদের প্রার্থীদের পক্ষে গণজোয়ার সৃষ্টি হয়েছে।

তিনি বলেন, আমরা ক্লিন ইমেজের দুজন প্রার্থীকে মনোনয়ন দিয়েছি। জনগণ স্বচ্ছ ইমেজের প্রার্থীকে পছন্দ করে। আগামী নির্বাচনে দুই সিটিতে মেয়র ‌হি‌সে‌বে আমাদের প্রার্থীরা বিজয়ী হবেন বলে আমি আশা করি।

সেতুমন্ত্রী বলেন, বিএনপি'র স্বপ্ন দুঃস্বপ্নে পরিণত হবে। কারণ ১১বছর ধরে ক্ষমতায় আওয়ামী লীগ। জনগণ ক্ষমতাসীনদের রেখে বিরোধীদলকে বিজয় করে লাভ কি? তা জনগণ বুঝে। বিএনপি এতো বছরে কোন উন্নয়ন অর্জন করতে পারেনি, ভবিষ্যতেও পারবে না। যারা উন্নয়ন করতে পারেনি তাদেরকে জনগণ ভোট দিয়ে নির্বাচিত করবে না। মানুষ জেনে গেছে তাদের ভোট দিয়ে লাভ নেই। 

ইভিএম নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, নির্বাচন কমিশন গঠনকালে প্রতিটি রাজনৈতিক দলের সঙ্গে প্রধান নির্বাচন কমিশনারসহ অন্য নির্বাচন কমিশনারগণ আলাপ-আলোচনা করেছেন। তখন ইভিএম নিয়ে আলোচনা হয়েছে। তখন কিন্তু বিএনপি এ বিষয়ে কোনো প্রতিবাদ করেনি। সিটি নির্বাচনে ইভিএম পদ্ধতি নিয়ে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর যে মন্তব্য করেছেন তা বিভ্রান্তিকর।

হিন্দু সম্প্রদায়ের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে নির্বাচনের তারিখ পরিবর্তন হলে আওয়ামী লীগ বা সরকারের কোনো আপত্তি থাকবে না উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘একই দিনে সিটি নির্বাচন এবং সরস্বতী পূজা নিয়ে হিন্দু সম্প্রদায়ের মধ্যে ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে। নির্বাচন কমিশন তাদের সঙ্গে কথা বলে গ্রহণযোগ্য একটি তারিখ ঠিক করবে বলে প্রত্যাশা করছি।’

আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক এবং ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি আব্দুল মান্নান এমপির মৃত্যুতে দুঃখ প্রকাশ করেন ওবায়দুল কাদের।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দীন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক এসএম কামাল হোসেন, মির্জা আজম, সাখাওয়াত হোসেন শফিক, দফতর সম্পাদক বিল্পব বড়ুয়া, ত্রাণ ও সমাজ কল্যাণ সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক আব্দুস সবুর, উপ-দফতর সম্পাদক সায়েম খানসহ অনেকে।