নিজস্ব প্রতিবেদক:
পূজার থাকায় অবশেষে দুদিন পেছানো হলো ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন নির্বাচন। ৩০ জানুয়ারির পরিবর্তে ১ ফেব্রুয়ারি এই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
শনিবার (১৮ জানুয়ারি) ইসির বৈঠক শেষে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নুরুল হুদা এই তথ্য জানান।
সিইসি বলেন, ‘ভোটের তারিখ নিয়ে একটি জটিল পরিস্থিতিতে পড়েছিলাম। ক্যালেন্ডারে ২৯ জানুয়ারি সরস্বতী পূজার দিন নির্ধারিত আছে। এটি ঐচ্ছিকপূজা। ৩০ জানুয়ারি পূজা নেই, সেই কারণে ভোটের দিন নির্ধারণ করেছিলাম। কিন্তু পরবর্তী পরিবেশ পরিস্থিতি আপনারা জানেন। সেটি মাথায় রেখে কারও ধর্মীয় অনুভূতিতে যেন আঘাত না লাগে, তা বিবেচনা করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে কথা বলেছি। শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা করেছি। তিনি ১ ফেব্রুয়ারি পরীক্ষার তারিখ পিছিয়ে ৩ ফেব্রুয়ারি নির্ধারণ করতে রাজি হয়েছেন। এ জন্য আমরা মুক্ত দিন হিসেবে ১ ফেব্রুয়ারি ঢাকার দুই সিটির ভোটগ্রহণের সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’
এদিনে শনিবার নির্বাচন ভবনে ভোটের তারিখ পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত নিতে দুই দফা বৈঠকে বসেন সিইসির নেতৃত্বে অন্য কমিশনাররা। বিকেল ৪টায় নির্বাচন ভবনে বৈঠক শুরু হয়।
পরে মাগরিবের নামাজের বিরতির পর আটটায় দ্বিতীয় দফায় বৈঠকে বসেন কমিশন। রাত সাড়ে আটটায় প্রধান নির্বাচন কমিশনার কেএম নূরুল হুদা সাংবাদিকদের ভোটের তারিখ পরিবর্তনের বিষয়টি জানান।
এদিকে ভোট পেছানোর দাবিতে আমরণ অনশন শুরু করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজন ছাত্র। হিন্দু সম্প্রদায়ের পক্ষ থেকে সর্বোচ্চ আদালতে বিষয়টি নিয়ে আপিলও করা হয়। রবিবার এ ব্যাপারে শুনানি হওয়ার কথা ছিল।
আওয়ামী লীগ-বিএনপিসহ রাজনৈতিক দলগুলোও নির্বাচনের তারিখ পাল্টানোর পক্ষে মত দেয়। এর মধ্যেই শনিবার বিকালে ছুটির দিনে জরুরি বৈঠকে বসে নির্বাচন কমিশন। কয়েক ঘণ্টা বৈঠকের পর নির্বাচন পেছানোর ঘোষণা আসে।