বুঝতে পারছি না ভারত কেন এটা করল: প্রধানমন্ত্রী

img

ডেস্ক প্রতিবেদক:

ভারত সরকারের সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনে কি উদ্দেশ্য তা বুঝতে পারছেন না বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি আবু ধাবিতে ‘গালফ নিউজ’কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এ কথা বলেন। তিনি বলেন, ‘আমরা বুঝি না ভারত সরকার কেন এই কাজটি করলো। এটা জরুরি ছিল না।’

বাংলাদেশ, আফগানিস্তান ও পাকিস্তান থেকে নিপীড়নের মুখে ভারতে পালিয়ে যাওয়া হিন্দু, বৌদ্ধ, শিখ, জৈন, পার্সি ও খ্রিস্টানদের নাগরিকত্ব নিশ্চিতে গত বছরের ডিসেম্বরে আইন সংশোধন করেছে ভারত। তবে এই আইন মুসলমান ধর্মাবলম্বীদের উল্লেখ না থাকায় শুরু হয়েছে নানা বিতর্ক।

সিএএ প্রত্যাহারের দাবিতে দেশজুড়ে সরব হয়েছে একধিক রাজনৈতিক দল। গোটা ভারত জুড়ে ফুঁসে উঠেছে বিক্ষোভে। এছাড়া জাতীয় নাগরিক তালিকারও বিরোধিতা করছে সাধারণ মানুষ। বাংলাদেশের বিশ্লেষকরা মনে করছেন ভারতে থাকা মুসলিমরা নিজেদের নাগরিকত্ব প্রমাণে ব্যর্থ হলে বাংলাদেশে আশ্রয় খুঁজবে।

ভারতে পাড়ি দেওয়া কেউ বাংলাদেশে ফিরে আসছেন এমন ঘটনা ঘটেনি উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, অনেকে সমস্যার মধ্যে আছে।এটা তাদের অভ্যন্তরীণ বিষয়। বাংলাদেশ সবসময়ই এই সিএএ এবং এনআরসিকে ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয়ই মনে করে আসছে।

‘ভারত সরকারও সবসময় বলে আসছে, এটা তাদের অভ্যন্তরীণ বিষয়। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও ব্যক্তিগতভাবে আমাকে এ বিষয়ে আশ্বস্ত করেছেন বলে জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।’

সাক্ষাৎকারে রোহিঙ্গা সংকট নিয়ে উদ্বেগ জানিয়ে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী বলেন, এই সমস্যার শুরুটা যেহেতু মিয়ানমারে, সেহেতু তাদেরই সমাধান করতে হবে।

মিয়ানমারে নিপীড়নের শিকার হয়ে ১১ লাখের বেশি রোহিঙ্গা মুসলমান বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়ে আছে। তাদের ফেরতের উদ্যোগ নেওয়া হলেও নিরাপত্তা নিয়ে আশঙ্কা থেকে তারা ফিরতে চাইছে না। প্রত্যাবাসনের উপযোগী পরিবেশ তৈরিতে মিয়ানমারের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, রোহিঙ্গা সংকটের অবসান না হলে তা আঞ্চলিক নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতাকে হুমকির মুখে ঠেলে দেবে।

বাংলাদেশ কয়লা বিদ্যুতের দিকে মনোযোগ বাড়ালেও এক্ষেত্রে পরিবেশের সুরক্ষার বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে দেখা হচ্ছে বলে জানান শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, বিদ্যুৎ উৎপাদনে বাংলাদেশ এতদিন গ্যাসের ওপর নির্ভর করত। কিন্তু গ্যাস ফুরিয়ে আসায় উন্নয়নের জন্য বিদ্যুৎ উৎপাদন বাড়াতে এখন কয়লাসহ অন্যান্য উৎসের দিকে নজর দিতে হচ্ছে।

এছাড়া সাক্ষাৎকারে প্লাস্টিকের ব্যবহার কমিয়ে বিকল্প পদ্ধতি গ্রহণের কথা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।