আপনারাই আমার অভিভাবক,ভোটারদেরকে ইশরাক

img

নিজস্ব প্রতিবেদক:

ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে বিএনপির মেয়রপ্রার্থী ইশরাক হোসেন নগরবাসীর উদ্দেশে বলেছেন, ‘আজকে আমার বাবা নাই আপনারাই আমার অভিভাবক। আপনাদের দোয়ায় আমি কোনো কিছু ভয় করব না।  আমি নির্বাচনের শেষ পর্যন্ত মাঠে থাকবে এবং লড়াই করে যাব।’

রবিবার দুপুরে ঢাকা সিটি করপোরেশন নির্বাচনের দশম দিনের প্রচারণার মধ্যভাগে রাজধানীর লালবাগ এলাকার জে এন সাহা রোডে এক সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

ইশরাক বলেন, ১ ফেব্রুয়ারির নির্বাচন হচ্ছে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের ও দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির জন্য একটি সুযোগ।  আপনারা সেই সুযোগকে কোনোভাবে হাতছাড়া করবেন না।  আপনারা নির্ভয়ে ভোট কেন্দ্রে যাবেন এবং ভোট দেবেন।

এ সময় তিনি বলেন, ঢাকার শহর পৃথিবীর সবচেয়ে অযোগ্য একটি শহরে পরিণত হয়েছে। এই সরকার দীর্ঘ সময় ধরে ক্ষমতায় থেকেও এই শহরের পরিবর্তন আনতে পারেনি। তাই একটি পরিবর্তন দরকার এবং ১ ফেব্রুয়ারি সেই পরিবর্তন আপনাদের ভোটের মাধ্যমে আসবে।

এ সময় ইশরাক আরও বলেন, ১ ফেব্রুয়ারির নির্বাচনকে বিভিন্নভাবে প্রভাবিত করার জন্য বিভিন্ন ষড়যন্ত্র চলছে।  

এদিকে রবিবার রাজধানীর আজমপুর মোড়ে গণসংযোগ শুরুর সময় ভোটারদের ‘দুর্নীতিমুক্ত ঢাকা’ উপহার দেয়ার প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করে ইশরাক হোসেন বলেন, ‘আমি মেয়র নির্বাচিত হলে সর্বপ্রথম সিটি করপোরেশনকে দুর্নীতিমুক্ত করার লক্ষ্যে সিটির ৫২টি প্রতিষ্ঠানকে একসাথে নিয়ে কাজ করবো।’

'সিল মারো ভাই সিল মারো ধানের শীষে সিল মারো ' এই স্লোগানে মুখরিত রাজধানীর আজিমপুর এলাকা।  আজিমপুর এলাকা থেকে ইশরাক হোসেন গণসংযোগ শুরু করলে এমন পরিবেশের তৈরি হয়। এ সময় তিনি সংক্ষিপ্ত বক্তব্য রাখেন। পরে আজিমপুর ছাপরা মসজিদ হয়ে আজিমপুর কবরস্থান এলাকায় হাজার হাজার নেতাকর্মী নিয়ে তিনি গণসংযোগ করেন।

প্রতিপক্ষের প্রতি ইঙ্গিত করে তিনি বলেছেন, ‘পোস্টার ছেঁড়ার মাধ্যমে আমাদেরকে জনগণের মন থেকে মুছে ফেলতে পারবেন না। বিএনপি গণতান্ত্রিক আন্দোলনের অংশ হিসেবে এ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছে। এই নির্বাচনে জয়লাভ করার জন্য রাজনৈতিক দল হিসেবে আমাদের যা যা করণীয় তাই করবো।

নির্বাচনের তারিখ পরিবর্তনের বিষযয়ে ইশরাক হোসেন বলেন, ‘নির্বাচনের তারিখ নির্ধারণের সময়ই নির্বাচন কমিশনের উচিত ছিল হিন্দু ধর্মালম্বীদের পূজার বিষয়টি বিবেচনা করা। তাহলে আজকে নির্বাচনের তারিখ পরিবর্তনের কারণে শিক্ষার্থীদের বিপাকে পড়তে হতো না। তারপরও দেরিতে হলেও কমিশন সরস্বতী পূজার বিষয়টি বিবেচনা করে ভোট পিছিয়ে দেয়ার সিদ্ধান্তকে আমি সাধুবাদ জানাই।’