আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
চীনের উহান প্রদেশ থেকে অন্যান্য এলাকায়ও ছড়িয়ে পড়ছে রহস্যজনক ভাইরাস। গত দুই দিনে এতে নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ১৩৯ জন। এছাড়া এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে এখন পর্যন্ত মৃত্যুবরণ করেছেন তিনজন। সোমবার দেশটির কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, চীনা নতুন বছর উদযাপনে বিশ্বের নানা প্রান্ত থেকে আসা পর্যটকদের কারণে এই ভাইরাস দ্রুত ছড়িয়ে পড়তে পারে। ২৫ জানুয়ারি চাইনিজ নতুন বছর শুরু হবে।
এতদিন পর্যন্ত যারা এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছিলেন তারা সবাই উহান প্রদেশের বাসিন্দা ছিলেন। কিন্তু গত দু’দিনে উহান ছাড়াও চীনের অন্যান্য স্থানেও এই ভাইরাসে আক্রান্ত হচ্ছে মানুষ। খবর এএফপির।
সরকারি হিসাব অনুযায়ী, এই ভাইরাসে এখন পর্যন্ত ২শ জনের আক্রান্ত হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে। তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই রোগে আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় ১৭শ।
চীনের রোগ নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধ কেন্দ্র জানিয়েছে, এই ভাইরাসে আক্রান্ত রোগীদের শরীরে প্রথমেই যে লক্ষণগুলো পাওয়া গেছে সেগুলো হলো শ্বাসকষ্ট, জ্বর, সর্দি, কাশি। এ থেকে প্রথমেই মনে হতে পারে যে, রোগী নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয়েছেন। অনেকটা নিউমোনিয়ার মতোই এই ভাইরাসটি এক ধরনের করোনা ভাইরাস।
এরই মধ্যে থাইল্যান্ড ও জাপানেও এই ভাইরাস সংক্রমণের খবর মিলেছে। কিন্তু দু’দেশের ক্ষেত্রেই দেখা গেছে, আক্রান্তরা সম্প্রতি চীনের উহান প্রদেশে গিয়েছিলেন।
উহান প্রশাসনের সন্দেহ, সি-ফুড বাজার থেকে সংক্রমণ ছড়াতে পারে। কিন্তু এখনও পর্যন্ত কোনো মানুষের থেকে অন্য মানুষের শরীরে সংক্রমণের জোরদার প্রমাণ মেলেনি। যদিও এই আশঙ্কা এখনই উড়িয়ে দিতে রাজি নয় প্রশাসন।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) এক চিকিৎসক জানিয়েছেন, যদি সামান্য কিছু মানুষের থেকে অন্য মানুষের দেহে সংক্রমণের ঘটনা জানা যায়, সেটা খুব অবিশ্বাস্য হবে না। বিশেষ করে একই পরিবারের সদস্যের মধ্যে সংক্রমণ ছড়াতেই পারে। যেমন, ভাইরাস আক্রান্ত একটি লোক সি-ফুড হোলসেল মার্কেটে কাজ করতেন বলে জানা গিয়েছে।
বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, রহস্যময় ভাইরাসটি করোনাভাইরাস পরিবারের হতে পারে। এই ভাইরাস কখনো কখনো ভয়াবহ হয়ে ওঠে। সামান্য সর্দিজ্বরকে ‘সার্স’ বা ‘সিভিয়ার অ্যাকিউট রেসপিরাটরি সিন্ড্রোম’ এর মতো ভয়াবহ রোগে রূপান্তরিত করতে পারে।