নিজস্ব প্রতিবেদক:
বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ জানিয়েছেন, বর্তমানে দেশে উত্তোলনযোগ্য গ্যাসের মজুত আছে ১০ দশমিক ৬৩ ট্রিলিয়ন ঘনফুট। যা মাত্র ১১ বছর ব্যবহার সম্ভব।
সোমবার সংসদে মন্ত্রীদের জন্য নির্ধারিত প্রশ্নোত্তর পর্বে সরকারি দলের সংসদ সদস্য মোহাম্মদ এবাদুল করিমের লিখিত প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী এ তথ্য জানান। এর আগে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে দিনের কার্মসূচি শুরু হয়।
প্রতিমন্ত্রী জানান, দেশে বিদ্যমান গ্যাস ক্ষেত্রসমূহ থেকে বর্তমানে দৈনিক ২ হাজার ৫৭০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস উৎপাদন করা হচ্ছে। তবে এখনো ১০ দশমিক ৬৩ ট্রিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস মজুত আছে, যা ১১ বছর ব্যবহার করা সম্ভব হবে। গ্যাসের ক্রমবর্ধমান চাহিদার প্রেক্ষিতে সম্ভাব্য স্থানে গ্যাসের কূপ খননের পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে।
গ্যাস নিয়ে সরকারের পরিকল্পনা তুলে ধরে প্রতিমন্ত্রী বলেন, গ্রহণ করা পরিকল্পনা অনুযায়ী বাপেক্স ২০১৯-২১ সাল নাগাদ দুটি অনুসন্ধান কূপ, ২০২২-৩০ সাল নাগাদ ১৩টি অনুসন্ধান কূপ এবং ২০৩১-৪১ সাল নাগাদ ২০টি অনুসন্ধান কূপ খননের উদ্যোগ গ্রহণ করেছে।
গৃহীত পরিকল্পনা বাস্তবায়নে বর্তমানে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগরে শ্রীকাইল ইস্ট-এ অনুসন্ধান কূপ খনন কার্যক্রম চলমান রয়েছে। এছাড়া সিলেট জেলার জকিগঞ্জে এবং ভোলা জেলায় দুটি অনুসন্ধান কূপ খনন কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন।
চাহিদার তুলনায় বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা বেশি হওয়ায় কোথাও বিদ্যুৎ ঘাটতি পরিলক্ষিত হচ্ছে না বলে জানান প্রতিমন্ত্রী।
তবে এ সমস্যা সমাধানে কাজ করা হচ্ছে জানিয়ে নসরুল হামিদ বলেন, ‘সঞ্চালন ও বিতরণ নেটওয়ার্কের সীমাবদ্ধতার কারণে মাঝেমধ্যে বিদ্যুৎ বিভ্রাট ঘটে। তবে বিদ্যুতের বিভ্রাট, লো-ভোল্টেজ, উৎপাদনের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে গ্রাহকসংখ্যা বৃদ্ধি, বিতরণ ও সঞ্চালন প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে।’
‘পিক-অফপিক আওয়ার বিদ্যুতের লোডের তারতম্য কমানোর বিষয়ে কার্যক্রম চলমান রয়েছে। এসব কার্যক্রম বাস্তবায়ন হলে বিদ্যুৎ বিভ্রাট ও ভোল্টেজ তারতম্যজনিত সমস্যা দূর করা সম্ভব হবে এবং গুণগতমানের নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ করা সম্ভব হবে।’